Home / খেলাধুলা / একগুচ্ছ টুর্নামেন্টের আয়োজন করবে আইসিসি
আইসিসি

একগুচ্ছ টুর্নামেন্টের আয়োজন করবে আইসিসি

২০২৪ থেকে ২০৩১- এই আট বছরে একগুচ্ছ টুর্নামেন্টের আয়োজন করবে আইসিসি।এই টুর্নামেন্টগুলির আয়োজক দেশ বাছাইয়ের কাজ এরইমধ্যে শুরু করে দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। এই আট বছরে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ, দুটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা রয়েছে।

টুর্নামেন্ট আয়োজনে প্রক্রিয়ার শুরুতেই আইসিসির ভেতরে খুশির হাওয়া।আটটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য মোট ১৭টি দেশ এগিয়ে এসেছে, যা ক্রিকেটকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আইসিসির যে কর্মসূচি, সে ক্ষেত্রে একটি বিরাট সুখবর। শুধুমাত্র পুরুষদের টুর্নামেন্টেই নয়, নারীদের টুর্নামেন্ট, অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও রয়েছে এ তালিকায়।

টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য যে ১৭টি দেশ আয়োজক হতে চায় তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নামও। আইসিসির পক্ষ থেকে দেয়া তালিকায় যে ১৭টি দেশের নাম রয়েছে, তারা হলো- অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, ভারত, আয়ারল্যান্ড, মালয়েশিয়া, নামিবিয়া, নিউজিল্যান্ড, ওমান, পাকিস্তান, স্কটল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আরব আমিরাত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জিম্বাবুয়ে।

কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (পাপন) সভাপতি বোর্ডের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যেহেতু ভেন্যু বেশির প্রয়োজন হয়, সে কারণে এই আসরগুলো আয়োজনের জন্য যৌথভাবে আবেদন করবেন। এছাড়া এককভাবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করার জন্যও আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।

আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যাচ্ছে, নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই ১৭টি দেশ আয়োজক হওয়ার দাবিদার হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সুতনাং, বোঝাই যাচ্ছে এরই মধ্যে বিসিবিও আবেদন জানিয়েছে। তবে কোন কোন টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বিসিবি আবেদন করেছে, সেটা জানা যায়নি।

আইসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংস্থার তরফ থেকে এমনিতেই সদস্য দেশগুলোকে প্রিলিমিনারি টেকনিক্যাল প্রস্তাব দিয়ে রাখার জন্য। আইসিসি বোর্ড মিটিংই নির্ধারণ করবে কোন দেশ কোন টুর্নামেন্টের আয়োজক হবে।

প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে উচ্ছ্বসিত আইসিসির অস্থায়ী প্রধান কার্যনির্বাহী কর্তা জেফ অ্যালেডাইস, ‘২০২৩ সালের পরে আইসিসির সাদা বলের টুর্নামেন্ট আয়োজনে আমাদের সদস্যদের প্রতিক্রিয়ায় আমরা উচ্ছ্বসিত। এই প্রক্রিয়া আমাদের আয়োজক দেশের সংখ্যা বাড়িয়ে ক্রিকেটকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দেতে সাহায্য করবে। এরপর আমরা প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে এগোব যেখানে সদস্যরা আয়োজনের প্রস্তাব আরও বিস্তারে আমদের জানাবে এবং সেই অনুযায়ী আইসিসি নিজের সিদ্ধান্ত নেবে।’

২০০৯ সালের পর থেকে কোন বড় মাপের টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব না পেলেও এবার আয়োজক হওয়ার দৌড়ে রয়েছে পাকিস্তানও। শ্রীলঙ্কা দলের বাসের ওপর সন্ত্রাসী আক্রমণ পাকিস্তান ক্রিকেটকে অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে। ১২ বছর কেটে গেলেও এখনও পাকিস্তানে সফর করতে রাজি নয় একাধিক দেশ।

সে অর্থে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর প্রথমবার পাকিস্তান কোন আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজনের দায়িত্ব পায় কিনা, সেটাই দেখার।

বছরের শুরুতে আইসিসি আয়োজক দেশ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ওপেন বিডের পরিবর্তে অতীতের মতো বোর্ড দ্বারা নির্বাচনের প্রক্রিয়ায়ই ফিরে যায়। প্রসঙ্গতঃ এই সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ ও অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের আয়োজকারী দেশ নির্ণয়ের প্রক্রিয়া পৃথকভাবে বছরের শেষের দিকে আয়োজিত হবে।

ঢাকা চীফ ব্যুরো, ০৬ জুলাই, ২০২১;