তথ্য প্রযুক্তি

আইসিটি ডিভিশন ও হুয়াওয়ের ২১ হাজার নারীকে আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রদান

তিন বছরে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ২১ হাজারেরও বেশি নারী শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে আইসিটি ডিভিশন ও হুয়াওয়ে। ভ্রাম্যমাণ দু’টি ডিজিটাল ট্রেনিং বাসের মাধ্যমে ১২ হাজার ২৬ টি সেশনে তাদেরকে এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

২০১৫ সালে হুয়াওয়ে এবং বাংলাদেশের ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

আইসিটি বিভাগের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্পের সহযোগিতায় সেই সময় থেকে তিন বছর মেয়াদী এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে ও টেলিযোগাযোগ কোম্পানি রবি আজিয়াটা।

৬টি ডিজিটাল ট্রেনিং বাসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় । যেখানে সরাসরি হুয়াওয়ের তত্ত্বাবধায়নে ছিলো দু’টি বাস।

‘পদ্মা’ ও ‘রূপসা’ নামের ঐ ডিজিটাল ট্রেনিং বাস দু’টি দেশের প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে ঘুরে ৩ বছরে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ২১ হাজার ২৩৮ জন নারী শিক্ষার্থীদেরকে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। এ প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যত জীবনে তারা সাবলম্বী হতে পারবে বলে আশাবাদ প্রশিক্ষকদের।

গত সপ্তাহে তিন বছর মেয়াদী এ প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সম্প্রতি তথ্য ও যোগাযাগ প্রযুক্তি বিভাগের কাছে ডিজিটাল ট্রেনিং বাস দু’টি হস্তান্তর করেছে হুয়াওয়ে।

১ জানুয়ারি বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের তথ্য ও যোগাযাগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্পের পরিচালক মো.আখতার মামুনের কাছে বাস দু’টি হস্তান্তর করেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ঝাং কিডি।

এসময় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য।

নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে।

প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। ১ লাখ ৮০ হাজার কর্মী নিয়ে বিশ্বব্যাপি টেলিকম অপারেটর,উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে এগিয়ে চলেছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল শেষে হুয়াওয়ে আয় প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে যা আগের বছরের চেয়ে ১৯.৫% বেশি। এছাড়া গবেষণা ও উন্নয়নে (আরএন্ডডি) বিনিয়োগ মোট বার্ষিক রাজস্বের ১৪.১%,। যার ফলেই পণ্য ও সল্যুশনের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে।

বিশেষ করে ফাইভজি’র ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে বিশ্বব্যাপী ৪০টি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং ইতোমধ্যে ৭০ হাজার বেইজ স্টেশন হস্তান্তর করেছে।

প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় হুয়াওয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যান্যের চেয়ে অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস এগিয়ে।

বার্তা কক্ষ , ১২ জানুয়ারি ২০২০

Share