ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সব প্রস্তুতি শেষ। ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় এই আসর এখন মাঠে গড়ানোর অপেক্ষা মাত্র। প্রতিটি দলে যোগ দিয়েছেন খেলোয়াড়রাও। তাঁরা ঘাম ঝরানো অনুশীলন করে যাচ্ছেন নিজেদের দলকে জেতাতে। উত্তেজনায় মুখিয়ে আছেন ক্রিকেট সমর্থকরাও। ঠিক এ সময় আসরটি স্থগিত করতে মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করেছেন আইপিএস অফিসার জি সম্পাথকুমার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বিসিসিআই পাতানো খেলার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় সম্পাথকুমার এই আবেদন করেছেন।
আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং নতুন কোনো ঘটনা নয়। ফিক্সিংয়ের দায়ে দুই বছর নিষিদ্ধও ছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালস। এ ছাড়া প্রতিবছর কোনো না কোনো খেলোয়াড় নিষিদ্ধ হচ্ছেন এই অভিযোগে। কিন্তু আইপিএল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে এখনো যথাযথ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই পুলিশ অফিসারের মামলাটি ‘জনস্বার্থ মামলা’ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বল হয়, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বোর্ডকর্তাদের স্বার্থের জন্য ফিক্সিং প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন ইউনিট বেশ দুর্বল।
এ ব্যাপারে আইপিএস অফিসার জি সম্পাথকুমার বলেন, ‘খেলা বন্ধ করা আমার উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু আইপিএলে কয়েকজন ব্যক্তির স্বার্থরক্ষা করা হচ্ছে মাত্র। স্বার্থের সংঘাতের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি বিসিসিআই। দুর্নীতি দমন শাখার দায়িত্ব ও কার্যক্রম, ক্রিকেটারদের আয় এবং ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিষয়ে কোনো তথ্যই নেই বিসিসিআইর কাছে।’
সম্পাথকুমারের দাবি দুর্নীতি প্রতিরোধক কোনো পদ্ধতি বের না করা পর্যন্ত এ টুর্নামেন্টের ওপর যেন স্থগিতাদেশ থাকে।
আগামী ৭ এপ্রিল মাঠে গড়াচ্ছে এবারের আইপিএল। এক আইপিএস অফিসারের আবেদনে দেশটির আদালত এই টুর্নামেন্টের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই এখন দেখার।
নিউজ ডেস্ক:
আপডেট, বাংলাদেশ সময়২:৫০ পি.এম ৫ এপ্রিল ২০১৮
কে এইচ