আদি মানব (হোমো সেপিয়েন্স) ও নিয়ান্ডারথাল দুটি ভিন্ন প্রজাতি। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা যাচ্ছে, নিয়ান্ডারথাল প্রজাতি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হলেও তাদের জিন রয়ে গেছে আমাদের আধুনিক মানুষের দেহে। অর্থাৎ একাধিকবার নিয়ান্ডারথালের সঙ্গে হোমো সেপিয়েন্সের মিলন হয়েছে।
মানুষের দেহে থেকে যাওয়া নিয়ান্ডারথালের জিনগুলো মানুষের অ্যালার্জির জন্য দায়ী বলে মনে করছেন গবেষকরা।
সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা যাচ্ছে, মানুষের দেহের জিনের দুই থেকে তিন শতাংশ জিন নিয়ান্ডারথালের বংশোদ্ভূত। ইউরোপিয়ানদের তুলনায় এশিয়ানদের দেহে নিয়ান্ডাথালের জিন বেশি। এক্ষেত্রে ইউরোপিয়ানদের দেহে গড়ে দুই শতাংশ ও এশিয়ানদের দেহে গড়ে তিন শতাংশ পর্যন্ত নিয়ান্ডারথালের জিন রয়েছে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণার আলোকে এ তথ্যগুলো প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটিতে নতুন জিনোম-অ্যানালাইসিস পদ্ধতি ব্যবহা করা হয়েছে। গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার।
এর আগে উত্তর ইতালিতে ৪০ থেকে ৩০ হাজার বছর আগের একটি কঙ্কালের সন্ধান পাওয়া যায়। সেটি মানুষ ও নিয়ান্ডারথালদের মিলনে জন্ম নেওয়া শিশুর বলে ধারণা করা হয়।
এ বিষয়ে আরো যে গবেষণা চলছে তাতেও যদি প্রমাণিত হয় যে, কঙ্কালটি এ ধরনের হাইব্রিড মানবসন্তানের তাহলে নিয়ান্ডারথাল ও আমাদের বর্তমান প্রজাতি হোমোসেপিয়েন্স মানুষদের মধ্যে যে শংকরায়ন হয়েছে আরো জানা যাবে। কঙ্কালটির জেনেটিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই ব্যক্তির মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ নিয়ানডারথাল। ডিএনএটি মায়ের দেহ থেকে সন্তানের দেহে এসেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে কোনো নিয়ানডারথাল মানবীর সঙ্গে হোমোসেপিয়েন্স পুরুষের মিলনে এই সন্তানের জন্ম হয়েছে।
৩৫ থেকে ৩০ হাজার বছর আগে নিয়ানডারথাল মানুষদের সংস্কৃতি এবং সকল খাঁটি নিয়ানডারথাল বংশধররা বিলুপ্ত হয়ে যায়।
সূত্র:কালের কন্ঠ
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩: ৩০ পি.এম ১৯মার্চ,২০১৮সোমবার
কে এইচ