ঈদের ছুটি শেষে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে অনেক মানুষ লঞ্চ, ট্রেন ও বাসের বিকল্প হিসেবে অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস এবং ট্রাক বেছে নিয়েছেন।
১৮ মে মঙ্গলবার সকাল থেকে চাঁদপুর পৌর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২০-২৫ টি অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্য ছেড়ে গেছে। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সে ১০-১২ জন করে গাদাগাদি করে নিয়ে যাচ্ছে চালকরা।
এদিকে কাজের প্রয়োজনে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করা মানুষজন বিকল্প পরিবহন ব্যবহার করতে না পেরে গুনতে হচ্ছে তিন থেকে চার গুন অতিরিক্ত ভাড়া। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষকে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে চাঁদপুর বড়স্টেশন ঘাটে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীর চাপে চাঁদপুর শহরের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। করোনার ঝুঁকি নিয়েই গাদাগাদি করে নদী পার হয়ে গন্তব্যে ছুটে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে বাসের অপেক্ষায় থাকা ঢাকার যাত্রী হাফিজুল বলেন, আমি ঢাকায় একটি কারখানায় কাজ করি। সকালে বের হয়ে শরিয়তপুর থেকে ট্রলারে করে খুব কষ্টে বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। কিন্তু, এখানে এসে দেখি ঢাকায় যাওয়ার কোন পরিবহন নাই। তাই অ্যাম্বুলেন্সে করে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। ভাড়া তিনগুন বেশি হলেও কর্মস্থলে যেতে হবে।
অ্যাম্বুলেন্স চালক মনির হোসেন বলেন, সরকার যে ভাবে লকডাউন দিয়েছে, সবাইকে না খেয়ে মরতে হবে। মানুষ ঢাকায় এম্বুলেন্সে যেতে আগ্রহী তাই নিয়ে যাচ্ছি। রোগীর এম্বুলেন্সে যাত্রী নেওয়া কি ঠিক এমন প্রশ্নের জবাবে মনির বলেন, ভাই এত নিয়ম কানুন বুজি না, যাত্রী নিলে টাকা পাবো। ইনকাম না থাকলে পরিবার চালামু কেমনে।
চাঁদপুর ট্রফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, অ্যাম্বুলেন্সে করে যাত্রী নেওয়ার কোন নির্দেশনা নেই। যারা এই কাজটি করছে, সম্পূর্ণ বেআইনি। ঈদের কারণে আমাদের লোকবল সংকট। আশা করি আগামীকাল থেকে একটি এম্বুলেন্সেও যাত্রী নিতে দেওয়া হবে না।
প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম,১৮ মে ২০২১