জীবন যেখানে যেমন, তেমনি এক অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠা প্রতিবন্ধী পরিবারের সংগ্রামী জীবনের গল্প খুজে পাওয়া যায়।
কৃষক সফিউল্ল্যাহ মিয়াজী (৬৫)। বিয়ে করেছেন প্রায় ৪০ বছর হলো। স্ত্রী তার প্রায় সমতল উচ্চতায় প্রায় ৫ ফুট। তাদের দুই ছেলে তিন মেয়ে। কিন্তু দুই ছেলে আ. হামিদ (৩৫) ও শরিফ মিজি (২২) এবং মেয়ে জেসমিন আক্তার (২৫) এ তিন জন অস্বাভাবিক উচ্চতায় বেড়ে উঠে। এরা তিনজন দেড় থেকে দুই ফুট উচ্চতার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরিদগঞ্জের৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ওভারামপুর গ্রামের কৃষক সফিউল্ল্যাহ মিজির পরিবারে প্রতিবন্ধী ৩ সন্তানের সংগ্রামী জীবন।
তার প্রতিবন্ধী বড় ছেলে আ. হামিদ বাড়ির সামনে চায়ের দোকান দিয়ে বসেছে। ছোট ছেলে শরিফ বাড়ীতে ছাগল লালন পালন করে আসছে। প্রতিবন্ধী মেয়ে জেসমিন আক্তার বিএসএস পাশ করে ঘরেই পরিবারের কাজে সহযোগিতা করে আসছে।
প্রতিবন্ধী কোটায় তিন জনই ভাতার অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। কিন্তু পুরো পরিবারটির একটাই দাবি তাদের প্রতিবন্ধী মেয়েটি উচ্চতর ডিগ্রি পাশ করে ঘরে বসে আছে। সরকারি ভাবে যদি প্রতিবন্ধী কোটায় একটা চাকরির ব্যবস্থা হতো তাহলে তাদের কষ্টের দিন ভুলে যেত।
বাবা সফিউল্ল্যাহ মিজি বলেন, প্রতিবন্ধী ৩ সন্তানের দেখভাল এখন পর্যন্ত আমাকেই করতে হয়। বর্তমানে শারীরিক ভাবে ভাল যাচ্ছে না। মরে যাওয়ার আগে অন্ততপক্ষে ডিগ্রী পাশ করা মেয়েটার যদি প্রতিবন্ধী কোটায় একটা সরকারি চাকুরি দেখে যেতে পারতাম তাহলে চিন্তামুক্ত থাকতাম।
প্রতিবন্ধী দুই ভাই বলেন, আমরা দেখতে অস্বাভাবিক হলেও কাজ করে খাই। আমাদের বোনটার যদি একটা চাকরির ব্যবস্থা হয় তাহলে আমাদের আর সরকারের কাছে কোন চাওয়া পাওয়া থাকবে না।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান ও শিপন পাটোয়ারী বলেন, সরকারি ভাবে আমরা প্রতিবন্ধী পরিবারটিকে ভাতার আওতায় এনেছি। বর্তমানে প্রতিবন্ধী পরিবারের ডিগ্রী পাশ করা মেয়েটির যদি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা যায়, এ জন্য আমরাও সরকারের কাছে আকুতি জানাই।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাও. শারাফত উল্ল্যাহ বলেন, প্রতিবন্ধী পরিবারের ভাতা ছাড়াও অন্যান্য সুযোগসুবিধা দিয়ে আসছি।
প্রতিবেদক :জহিরুল ইসলাম জয়,২২ অক্টোবর ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur