অস্বাভাবিক ও ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিল সমন্বয় করে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ-সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
পরে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি যেগুলো আছে, প্রকৃত মিটার রিডিং ছাড়াই তারা ভৌতিক বিল আদায় করেছে গ্রাহকদের কাছ থেকে। এ বিষয়ে জুন মাসে বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল আদায় যেন তারা স্থগিত রাখেন। এ চিঠিতে তারা কর্ণপাত করেননি। পরে জুলাই মাসে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ বিল সমন্বয়ের জন্য। কিন্তু তারা জানায় কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিল সমন্বয় করা হবে না’।
পরে গত ৫ অক্টোবর গ্রাহকদের অতিরিক্ত বিল সমন্বয়ের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এ রিট দায়ের করেন।
হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘হাইকোর্ট রুলে বলেছেন, বিইআরসির মাধ্যমে লাইসেন্সগুলোর ভৌতিক বিল আদায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিআরআইসি আইন ২০০৩ এর ৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলের পাশাপাশি হাইকোর্ট নির্দেশনা দিয়েছেন যে, বিইআরসি ১৬ জুলাই অস্বাভাবিক যেসব বিল আদায় করা হয়েছে, সেগুলো সমন্বয় করার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া দিয়েছিল। এই আদেশের অনুকরণে প্রকৃত মিটার রিডিং নিয়ে গ্রাহকদের বিল সমন্বয় করে আগামী দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এই প্রতিবেদন ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কর্তৃপক্ষ জমা দেবেন’।
গত ২৩ আগস্ট করোনার সময়ে মিটার রিডিং না দেখে করা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকদের থেকে আদায় বন্ধে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান।
বিদ্যুৎ, বিভাগের সচিব, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ডিপিডিসি ও ডেসকোসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়।
বার্তাকক্ষ, ১২ অক্টোবর,২০২০;