‘দেশে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদীরা অনেক শক্তিশালী, রাজনীতিতে উগ্রবাদিরা নীরবে থাকলেও গোপনে তাদের অবস্থানে করে নিয়েছে। তারা অস্ত্র, অর্থ সাংগঠনিক বলে ভয়ংকর অবস্থান তৈরি করেছে। শব্দ বোমা ফাটিয়ে এদের ধরা যাবেনা। দেশের মানুষকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকালে লক্ষ্মীপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলার কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) কংকন চাকমা, পুলিশ সুপার আসম মাতাহাব উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একে এম সালাহ উদ্দিন টিপু প্রমুখ।
তিনি বলেন, ‘লক্ষ্মীপুুর সহ দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়না। গণজাগরণ আমাদের হাতিয়ার। নেতারা নেতা পেলে মঞ্চে ডাকে। সরকারের সাথে থাকলে সময় খুব কম পাওয়া যায়। বেশির ভাগ সময় সরকার ও জনগণের জন্য কাজে সময় দিতে হয়। কিন্তু বিরোধী দলে থাকাকালে অনেক কথা বলার সময় থাকে।’
উন্নযনমূলক কর্মকা- নিয়ে মন্ত্রী জানান, ‘লক্ষ্মীপুর- চৌমুহনী- ফেনী মহাসড়কটি আগামী অর্থ বছরের ২৪ ফুটের কাজ শুরু হবে। এর পর ধীরে ধীরে ৩০- ৪০ ফুট করা হবে। পরে ৪ লেন করার বিষয়টি চিন্তা ভাবনা রয়েছে। বর্ষার মৌসুমে যাতে করে রাস্তায় চলাচলকারীদের মানুষের দুর্ভোগ না হয় সেই জন্য সড়ক চলাচলের উপযোগী করতে হবে। বর্ষার সময় দিনে বেলায় কাজ করা সম্ভব না হলে রাতে বেলায় করতে পারে। এসময় দেখা যেত প্রকৌশলীরা মাথা ছাতা নিয়ে রাস্তার কাজ তদারকি করতো। কিন্তু বর্তমানে তা দেখা যায়না।’
তৃণমূলের অবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরে এ ৩ জেলায় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক অবস্থা অনেক দুর্বল। এসব জেলায় নেতাকর্মীদের সাথে জনগণের অনেক দূরত্ব রয়েছে। এ কারনে নির্বাচনে জনগণ আমাদের ভোট দেয় না। সভা সমাবেশ আমি বিশ্বাস করিনা। ৩ টি সমাবেশে ঘন্টার পর ঘন্টা অপচয় না করে ৩ টি রাস্তার কাজ করলে মানুষের কাজ হবে। বর্তমানে সভা সমাবেশে জনসাধারণ আসে না। আসে শুধু নেতাকর্মী।’
মন্ত্রী পরে লক্ষ্মীপুরে হয়ে সড়ক ও জনপদের রাস্তা পরিদর্শন করে চাঁদপুর হয়ে ঢাকা উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন।