অস্ট্রেলিয়ায় এই প্রথম নাগরিকদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমোদন দিয়েছে দেশটির ভিক্টোরিয়া রাজ্য।
দুই রাতসহ দীর্ঘ ১০০ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস বিতর্ক শেষে ঐতিহাসিক এই আইনের অনুমোদন দিয়েছেন ভিক্টোরিয়া রাজ্যের আইনপ্রণেতারা।
নতুন এই আইনানুযায়ী, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মুমূর্ষু রোগীরা ইচ্ছা করলে তাদের জীবন শেষ করতে বিষাক্ত ইনজেকশন গ্রহণের অধিকার পাবেন। তবে রোগীদের বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হতে হবে এবং ন্যূনতম ছয় মাসেরও কম সময় বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নিশ্চিত করতে হবে।
তবে এ আইন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন নাগরিকরা। রক্ষণশীলরা এই আইনের সমালোচনা করেছেন।
অস্টেলিয়ায় এ আইন পাস হওয়ার আগে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশু, যারা অসহনীয় যন্ত্রণায় ভুগছে, কিন্তু তাদের শারীরিক যাতনা কমানোর মতো আর কোনো ডাক্তারি প্রচেষ্টা বাকি নেই, তারা এখন থেকে স্বেচ্ছায় কম কষ্টে মৃত্যুবরণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে ডাক্তাররা তা বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে এক আইন পাস করেছে বেলজিয়ামের জাতীয় সংসদ।
বেলজিয়ামে আগে থেকেই মার্সি কিলিং বা যন্ত্রণামুক্তির জন্য স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমোদন দিয়ে একটি আইন ছিল তবে তা ছিল শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। বড়দের মতো শিশুরাও কেন এই সুযোগটি নিতে পারবে না এই নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে তর্ক-বিতর্ক চলছিল বেলজিয়ামে।
অসুস্থ মৃত্যুপথযাত্রী শিশুরা যদি কম কষ্টে মরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই সব শিশুদের বাবা-মা বা অভিভাবকরাও যদি এতে সম্মতি দেয় তাহলে বেলজিয়ামের ডাক্তাররা এখন থেকে শিশুদের কম কষ্টে মৃত্যুবরণের ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবে।
বেলজিয়ামের এন্টেরপ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এথিকস এর প্রধান বলছেন, অনেক ডাক্তারের পক্ষেই প্রাণ নেয়ার কাজটা সহজ হবে না। বেলজিয়ামে অনেক ডাক্তার রয়েছে যারা মনে করে এই কাজটি করা তাদের জন্য অতীব কঠিন হবে। কেননা, তারা কেউই ইচ্ছেকৃতভাবে মানুষের জীবনকে সমাপ্ত করে দিতে প্রশিক্ষিত নয়। দেশটিতে বয়স্ক মানুষদের জন্য কম কষ্টে মৃত্যুবরণের আইন চালু রয়েছে গত ১২ বছর ধরে।
নিউজ ডেস্ক:
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৪:৫০ এএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৭, বুধবার
এএস