চাঁদপুর

অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার পাশে দাঁড়ালেন সাংসদ অ্যাড. নুরজাহান মুক্তা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও গণমাধ্যমে উঠে আসা রাস্তায় পড়ে থাকা অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়েরের (৬৭) পাশে দাঁড়িয়েছেন চাঁদপুর-লক্ষীপুর সংরক্ষিত আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট নুরজাহান বেগম মুক্তা।

দেশের জন্য লড়াই করা বীর মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে নিজেই হাসপাতলে ভর্তি করেন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি এই মুক্তিযোদ্ধার সার্বক্ষণিক খোঁজ খবরও রাখছেন। মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়েরের চিকিৎসায় বৃত্তবানদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

গত ১৫ নবেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসা খবরে বলা হয়, অসহায় মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়েরকে কে বা কারা সাভারে রাস্তায় ফেলে গেছে। স্থানীয় কয়েক যুবক তাকে সাভারের চাপাইনের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপিতে) ভর্তি করেন। কিন্তু সিআরপি’র চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার এ রোগের জন্য সিআরপিতে নয়, ঢাকায় চিকিৎসা দরকার। কিন্তু কে নেবে তার দায়িত্ব? কে তাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাবেন?

এক কালের এলাকার মেধাবী ছাত্র আবুল খায়ের দেশ মাতৃকার টানে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। শত্রুর মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন গেরিলা যুদ্ধে। যুদ্ধকালে সিলেট ও চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানা এলাকায় ছিলেন যোদ্ধাদের কমান্ডার। ২নং সেক্টরে অধিনায়ক খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে বীরদর্পে শত্রুর মোকাবেলা করেছেন।

শুক্রবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত শহীদ সোহরাওয়ারর্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়েরকে দেখতে যান সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগম মুক্তা।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ওনারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। আজ ওনাদের অসুস্থতায় আমরা বসে থাকতে পারি না। ওনাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুজাফর মো. মাঈনুদ্দিনের কন্যা সাংসদ মুক্তা বলেন, ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসলে ওনাকে দ্রত চিকিতসা সেবা নিশ্চিতের চেষ্টা করি।

পরে হৃদরোগে আক্তান্ত আবুল খায়েরের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন তিনি। একই সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য অনুরোধ করেন।

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়
: আপডেট, বাংলাদেশ ১১ : ৩৩ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৭ শনিবার
ডিএইচ

Share