জীবন আছে যার, মৃত্যু তার সুনিশ্চিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, প্রত্যেক প্রাণীকে আস্বাদন করতে হবে মৃত্যু। এ জন্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যু পথযাত্রীকে অসুস্থাবস্থায় তালকিন দেয়ার কথা বলেছেন। যখন অসুস্থ ব্যক্তির মৃত্যু উপস্থিত হয়ে যাবে, তখন তার নিকট উপস্থিত ব্যক্তিদের কতিপয় কাজ করা কর্তব্য।
১. মৃত্যুর সন্নিকট ব্যক্তিকে তারা কালিমা শাহাদাত শিক্ষা দিবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশ- তোমরা তোমাদের মৃত্যু সন্নিকট ব্যক্তিকে কালিমা শিক্ষা দাও। মৃত্যুর সময় যার শেষ কথা হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সময়ের কোনো একদিন সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
২. উপস্থিত ব্যক্তিগণ তার জন্য দোয়া করবে। তার সামনে উত্তম কথা বলবে। রাসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- যখন তোমরা অসুস্থ ব্যক্তি বা মৃত ব্যক্তির নিকট উপস্থিত হও তখন তোমরা উত্তম কথা বলো, কেননা ফিরিশতাগণ তোমরা যা বলো তা সত্যায়িত করেন।
৩. অসুস্থ ব্যক্তির নিকট তাকে শুনিয়ে কালিমা পাঠ করা তালকিন হবে না বরং তাকে বলার জন্য নির্দেশ দিতে হবে। তাকে কালিমা বলাতে বা পড়াতে হবে। কেউ কেউ বলেছেন, বলাতে বা পড়াতে হবে না। হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক আনসারি ব্যক্তিকে দেখাশুনা (সেবা) করলেন। অতপর বললেন, হে মামা! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ` বলো। অতপর লোকটি বললেন, আমার জন্য কি আমি বেছে নেব যে আমি বলি, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হ্যাঁ।
সুতরাং মুমূর্ষু ব্যক্তি যার মৃত্যু আসন্ন অনুমান করা যায়, তাদেরকে কালিমার তালকিন দেয়া বা কালিমা পড়ানো প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব ও কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে মৃত্যুর সময় কালিমার তালকিন দেয়ার এবং আমাদের মৃত্যুর সময়ও কালিমার তালকিন পাওয়ার মাধ্যমে জান্নাত লাভের সৌভাগ্য দান করুন। আমিন।
ইসলাম ডেস্ক ।। আপডেট : ০৩:৪৯ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫, শুক্রবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur