Home / জাতীয় / অসুস্থ নারীকে যৌন হয়রানি : ইউনাইটেড হাসপাতালকে হাইকোর্টের রুল
মোবাইল ফোনে মামলা পরিচালনার কথা চিন্তা করছে হাইকোর্ট
ছবি : হাইকোর্ট

অসুস্থ নারীকে যৌন হয়রানি : ইউনাইটেড হাসপাতালকে হাইকোর্টের রুল

এক অসুস্থ নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রুলে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ওই হাসপাতালের স্টাফ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আগামী ৭ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করতে গুলশান থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

আদালতের রুলে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি, ডিএমপি কমিশনার, গুলশানের ডিসি ও এসি এবং গুলশান থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় এক সংবাদপত্রে ‘ইউনাইটেড হাসপাতালে নারী রোগীকে যৌন নিপীড়ন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা এক নারী রোগীকে যৌন নিপীড়নের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। সোমবার এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার যৌন নিপীড়নের অভিযোগে হাসপাতালের স্টাফ সাইফুল ইসলামকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাইফুলের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।

জানা যায়, ওই অসুস্থ নারী রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। সোমবার অপারেশন হওয়ায় তিনি অজ্ঞান ছিলেন। এ সুযোগে হাসপাতালের ওই স্টাফ অসুস্থ নারীকে যৌন নির্যাতন করে।

ওই অসুস্থ নারী সাংবাদিকদের জানান, তিনি অজ্ঞান ছিলেন। হঠাৎ জ্ঞান ফিরলে তিনি বুঝতে পারেন, কেউ একজন তার বুকের বিভিন্ন স্থানে হাত বুলাচ্ছে। তাকিয়ে দেখেন ওই হাত একজন পুরুষের। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই ছেলেকে দিয়ে নার্সদের ডাকার চেষ্টা করেন। প্রায় আধাঘণ্টা পর নার্স আসলে তিনি নার্সকে এ ঘটনা জানান। নার্স এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তার স্বামীকে না বলতে অনুরোধ করেন।

ঘটনার পরপরই ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে চান। তবে তাকে তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ওই নারীর সঙ্গে তার স্বামী দেখা করতে পারেন। পরবর্তী সময়ে ভুক্তভোগী ওই রোগীর স্বামী স্টাফ সাইফুল ইসলামকে পুলিশে দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। তবে অজ্ঞাত কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা করেনি।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৭:৪১ পিএম,০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার

এমআরআর