চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় শনিবার (২৩ এপ্রিল) পাইকপাড়া ইউনিয়নে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে কেন্দ্র দখলকারীদের ছোড়া বুলেট থেকে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার মো. ইসমাইল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে জানা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সশস্ত্রদল মাইক্রোযোগে পাইকপাড়া সাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ১১টার সময় উপস্থিত হয়। তাদেরকে স্থানীয় লোকজনসহ অন্যান্য প্রার্থীদের সমর্থকরা গাছের গুড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ঘেরাও করে ফেলে।
এসময় কেন্দ্রের ভেতরে পুলিশের ২টি মোবাইল টিম অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। মাইক্রোতে থাকা সশস্ত্রদলকে আক্রমণ করার জন্যে স্থানীয়রা এগোতে থাকে এবং বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরির সম্ভাবনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের এসআই খন্দকার ইসমাইল ও তার সঙ্গীয় ফোর্স সেখানে উপস্থিত হয়ে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে এবং বুদ্ধিমত্তার সাথে আক্রমণকারী ও স্থানীয় লোকদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়।
পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে কেন্দ্রের সামনে অবস্থানরত ২টি মাইক্রোবাসের তল্লাসির চেষ্টা করলে মাইক্রোবাসের ভেতর থেকে খন্দকার ইসমাইলকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।
গুলিতে ইসমাইল কিছুটা কাত হয়ে প্রাণে রক্ষা পায় কিন্তু বুলেটটি তার পেছনে থাকা সিএনজি চালক কবির হোসেনের মাথায় লেগে যায়।
আহত চালক কবির হোসেন ওই উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মো. হানিফ মিয়ার ছেলে।
পরবর্তীতে কনস্টবেল রবিউল আলম ও কাজী আবুল কালামের সহযোগিতায় মাইক্রোবাসে থাকা সন্ত্রাসীদের নিকট হতে আমেরিকার তৈরি ২টি স্বয়ংক্রিয় সাত রাউন্ড গুলি ভর্তি পিস্তল, ১টি কাটা বন্দুক, ৩ রাউন্ড গুলি, ৭টি রামদা ও ৩টি ককটেল উদ্ধার করা হয় এবং গাড়ী থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ১২ সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয়রা আরো জানায়, ডিবি পুলিশের উপস্থিত ১০ মিনিটের দেরী হলে আটককৃত ১২ জন সহ স্থানীয় অনেক লোকের হতাহতের সম্ভাবনা ছিলো।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়েন্দা কর্মকর্তা ইসমাইল খন্দকার জানায়, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের পর স্থানীয় ভোটাররা ডিবি পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়ে শ্লোগান দেয় এবং চাঁদপুরের পুলিশ সুপারকে শ্লোগানের মাধ্যমে অভিনন্দন জানায়। এতে পুলিশের কর্মকান্ড স্থানীয় লোকদের নিকট প্রশংসিত হয়।
এব্যাপারে এস আই ইসমাইল খন্দকার বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি দায়ের করে। যার নং ১৯। তারিখ ২৩-০৪-২০১৬।