চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলা ঐতিহাসিক বড় মসজিদে প্রখর রোদ আর গরমের মধ্যে একসাথে অর্ধ লক্ষাধিক মুসল্লী জুম’আতুল বিদার নামাজ শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে আদায় করেছে।
এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মসজিদে নামাজ পড়তে মানুষের ঢল নামে।
সকাল ১০ টার মধ্যেই মসজিদের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সে সময় বয়ান শুরু করেন মসজিদের ইমাম মাওলনা মুফতি মাওলানা এনামুল হক।
দূর-দূরান্ত থেকে আগত মুসল্লীদের নির্বিগ্নে নামাজ আদায় করতে মসজিদ কর্তৃপক্ষ মসজিদের মাঠ, আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ ও ভবন, কওমী মাদ্রাসা ভবন, হাজীগঞ্জ টাওয়ার, রজনীগন্ধ্যা মার্কেট, হাজীগঞ্জ প্লাজা, প্রাইম ব্যাংক ভবন, সাবেক পৌরসভার উপরে বিশাল জামায়াতের আয়োজন করা হয়।
এসব ভবন সাড়ে ১২ টার মধ্যেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের অংশগ্রহণে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
দুপর ১ টায় কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহা সড়ক স্টেশন রোডের সম্মুখ থেকে শুরু করে পূর্ব বাজারস্থ আমিন রোড পর্যন্ত মুসল্লীরা নামাজের জন্য কাতারে দাঁড়িয়ে পড়েন।
এ সময় কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলা-চল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় আশ-পাশের বিভিন্ন বিপনী বিতান, মার্কেট, বাসা-বাড়ির ছাদেও দূর দুরান্ত থেকে আগত মুসল্লীরা নামাজ আদায় করতে দেখা যায়।
প্রখর রোদ উপেক্ষা করে মুসল্লীগণ, মাঠ ও মহাসড়কে নামাজ আদায় করে।
নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব আলহাজ্ব মুফতি আব্দুর রউফ। মোনাজাতের সময় আমিন, আমিন ধ্বনীতে আকাশ-বাতাস মূখরিত হয়ে উঠে।
এ সময় আল্লাহর দরবারে পানাহ চেয়ে জুম’আতুল বিদার মোনাজাতে মুসল্লীদের কান্নায় আকাশ-বাতাশ ভারি হয়ে উঠে।
জুম’আতুল বিদার নামাজের জন্য আগত মুসল্লীগণের জন্য অজুর ব্যবস্থা করেছেন হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারের সবুজ ডেকেরোটর, পূর্ব বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীগণ।
জুম’আতুল বিদার জামায়াতের প্রস্ততি ও জুম’আতুল বিদার জামায়াত প্রসঙ্গে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের মোতাওয়াল্লী ড. মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারী বলেন, আলহামদুল্লিাহ প্রখর রোদ উপেক্ষ করে বিশাল জামায়াতে নামাজ আদায় করেছি। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার জুম’আতুল বিদার নামাজ আদায়ের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে অনেক বেশী। যার ফলে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নামাজ আদায় সম্পন্ন হয়েছে।
এ সময় হাজীগঞ্জ পৌরসভা, থানা প্রশাসন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও এলাকাবাসী সার্বিক সহযোগিতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বিশাল জামায়াত মসজিদ কর্তৃপক্ষের একার পক্ষে আয়োজন কঠিন। সবার আন্তরিক সহযোগিতা না থাকলে জুমাতুল বিদাহ নামাজ শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে আদায় করা সম্ভব হতো না। আশা করি আগামী দিনগুলোতেও তারা যেন মসজিদ ও মুসল্লীদের স্বার্থে এভাবে কাজ করে যায়।
প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১ : ৫৯ পিএম, ২৩ জুন ২০১৭, শুক্রবার
এইউ