শনিবার ০৬ জুন ২০১৫ : ০৮:৫১ অপরাহ্ন
মো. জাবেদ হোসেন :
চাঁদপুর বাবুরহাট এলাকার সরকরি শিশু পরিবার অরক্ষিত হওয়ায় মাদকসেবীরা জায়গাটিকে নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়ে মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
নেশার টাকার জোগাতে শিশু পরিবারের পরিত্যক্ত ভবনের টিন, এঙ্গেলসহ মূল্য জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাবুরহাট শিশু পরিবারের ভেতর দিয়ে মালি বাড়ির রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করার কারণে প্রতিনিয়ত দিনে ও রাতে বহিরাগত মাদকসেবীরা আসা যাওয়া করে। মালিবাড়ির মাদক সম্রাট ভানু মালির ছেলে শুভ (২২), দিপু, জয়ন্ত, ভোলাসহ বেশ কয়েকজন শিশু পরিবাররের এলাকাটি নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহার করে মাদক সেবন ও ব্যবসা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া মাদকসেবীরা শিশু পরিবারের পরিত্যক্ত বেশ কয়েকটি ভবনে রাতে মাদক সেবনের মিলন মেলা হিসেবে ব্যবহার করে। নেশাখোর যুবকরা শিশু পরিবারের কোমলমতি মেয়েদের শ্লিলতাহানী করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় শিশু পরিবারে কয়েকজন শিক্ষক প্রতিবাদ করায় তাদেরকে লাঞ্ছিত করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। চাঁদপুর ডিবি পুলিশ কয়েকবার অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদকসেবীরা পালিয়ে যায়।
পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডর শিলন্দিয়া এলাকার বাচ্চু গাজীর বাড়ির সংলগ্ম চিতাখোলা থেকে শুরু করে বাবুরহাট শিশু পরিবারের ভেতর মাদক বিক্রি ও মাদকসেবনের নিরাপদ স্থান হিসেবে ব্যবহারের চিত্র স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত দেখেও না দেখার ভান করছে ।
এ নিয়ে এলাকার সচেতন মানুষের মাঝে এক ধরনের আতংক বিরাজ করছে।
জানা যায়, মুখোশধারী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় শিলন্দিয়া এলাকার যুবসমাজ মাদক ব্যবসাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে তারা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
এ মরণ নেশা মাদকের জন্য এলাকায় চুরি-ডাকাতি, ইভটিজিংসহ নানা অপকর্ম বেড়েই চলছে।
জানা গেছে, মঠখোলা ও শিলন্দিয়া এলাকায় যারা মাদক ব্যবসা ও সেবনে নেতৃত্বের তালিকায় শিলন্দিয়ার ক’জন যুবকসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কখনো একক আবার কখনো যৌথভাবে এলাকায় মাদক ব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে।
এদের দৌরাত্ম্যে এলাকার যুবসমাজ দিন দিন নেশার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। সমাজে বাড়ছে নেশাগ্রস্ত লোকের সংখ্যা। ধ্বংস হচ্ছে এ এলাকার শিক্ষার হার। তাদের উৎপাতে বাবুরহাট শিশু পরিবারটি চরম উৎকণ্ঠা ও আতঙ্কে বসবাস করছে।
তাই সরকারি শিশুর পরিবার ও এলাকার যুবসমাজকে রক্ষা করার লক্ষ্যে দ্রুত মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করার প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী ও সচেতন যুবকরা মনে করছেন।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫
চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।