আবদুল গনি। আপডেট: ০৫:২৩ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বুধবার
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে ইলিশ অভয়াশ্রম গুলোতে ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ইলিশ জাতীয় সম্পদ এ সম্পদ রক্ষার্থে মৎস্য অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
বর্তমানে সারাদেশে ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার মে.টন মাছ উৎপাদন হয়। কিন্তু এর বিপরীতে দেশের চাহিদা রয়েছে ৪২ লাখ মে.টন। জাটকা রক্ষা ও প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ দেয়া হলে এক লাখ টনের বেশি মাছ প্রতি বছর বৃদ্ধি পাবে বলে জানা যায়।
দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ইলিশ সংরক্ষণ ও মৎস্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ইলিশ মৌসুমে মা ইলিশ আহরণ, সংরক্ষণ, মুজদ ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মৎস্য বিভাগের এক সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসন, নৌ-বাহিনী, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে ইলিশ পাচাররোধে কিংবা এ সময়ে নদীতে জাল ফেলে জেলে কর্তৃক ইলিশ ধরা থেকে বিরত রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নির্ধারিত এ সময়ে সংশ্লিষ্ট জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেয়ার নির্দেশ রয়েছে।
এদিকে ইলিশ সম্পদ রক্ষা সংক্রান্ত এক সভায় মশারি জাল, বেড় জাল, কারেন্ট জাল, মেহেন্দী জাল প্রভৃতি জাল যাতে ব্যবহৃত না হয় সে ব্যাপারেও কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইলিশ মাছের দাদন ব্যবসায়ীরা যাতে জেলেদেরকে ওই সময়ে মাছ ধরার ক্ষেত্রে সহায়তা না দিতে পারে সে ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলায় ষাটনল হতে দক্ষিণে হাজীমারা পর্যন্ত ওই সময়ে ইলিশ আহরণ না করার ক্ষেত্রে চাঁদপুরের প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, কোস্ট গার্ড কঠোর অবস্থানের কথা ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মৎস্য বিভাগের এক সূত্রে জানা গেছে সারাদেশের উপকূলীয় এলাকায় মাত্র ২% লোক ইলিশ ধরা বেচা-কেনা ও জাটকা নিধন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বাকি ৯৮% মানুষের জাতীয় সম্পদ ইলিশ ওই দু-ভাগ লোক ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই ইলিশ রক্ষার্থে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে সচেতন থেকে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ এ ইলিশকে রক্ষা করতে হবে।
কেউ কেউ বলছেন, ২০০৩ সাল থেকে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে। গতানুগতিকভাবে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসলেও কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব হয়নি। তাই পুলিশ, কোস্টগার্ড, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি চাঁদপুরের কয়েকটি স্থানে অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্পের মাধ্যমে ওই সময় পর্যন্ত ব্যবস্থা নিলে অব্যশই ইলিশ সম্পদ অনেকটাই রক্ষা পাবে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করছেন।
এছাড়া স্থানীয় ইউপি চেয়্যারম্যান ও মেম্বারদেরও এক্ষেত্রে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে ইলিশ সম্পদ রক্ষা করা অনেকাংশে সম্ভব হবে।
চাঁদপুর টাইমস- ডিএইচ/এমআরআর/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur