ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহফুজুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি শতভাগ নিয়মনীতি মেনে পৌরসভাধীন প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ঘরে ঘরে চাল বিতরণ করায় উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। তারা কয়েকজন (কাউন্সিলর) আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন, আমি ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ত্রানের চাল ১৬ টন উত্তোলণ করেছি, যা শত ভাগ বিতরণ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন…
ফরিদগঞ্জে ত্রান বিতরণে মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ
১৮ এপ্রিল ১০ টন চাল উত্তোলণ যা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারের ত্রান তহবিল থেকে ২৬ টন চাল উত্তোলণ করেছি, এমপি মহোদয়ের ১ টন ও আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ৩ টনসহ মোট ৩০ টন চাল প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে আমি নিজে প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছি। ধাপে ধাপে সরকারের তহবিল থেকে যে অর্থ এসেছে তার মধ্যে পৌরসভার নাগরিকদের জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, পৌর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা, কীটনাশক ও অসহায়দের নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি।
সম্মানি ভাতা সম্পর্কে মেয়র বলেন, গত তিন বছর পূর্বে আমি নৌকা প্রতিক নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার কারনে কিছু মহলের প্ররোচনায় কয়েকজন কাউন্সিলর আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছিল। কাউন্সিলররা অনাস্থা দেওয়ায় নিয়মানুযায়ী তাদের ভাতা বন্ধ রয়েছে। শুধু তাই নয়, আমি প্রতিটি কাজের পূর্বে সকল কাউন্সিলরদেরকে চিঠি প্রদান করি, তারা পৌরসভার চিঠি গুলো রিসিভ না করেই কিছুদিন পর পর আমার সন্মানহানী করার জন্য এইসব বিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে প্যানেল মেয়র-১ আব্দুল মান্নান পরান, প্যানেল মেয়র-২ মোহাম্মদ হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন গাজী ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর খোদেজা বেগম আলেয়া বলেন, মেয়র আমাদেরকে অবগত করে এবং সাথে নিয়েই সরকারের দেওয়া ত্রানের চাল মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বিতরন করেছে। মেয়রের চাল বিতরনে আমরা এবং জনগন সন্তুষ্ট, মেয়রের চাল বিতরনে আমি কোন ধরনের অনিয়ম দেখিনি। সরকারের দেওয়া খাদ্য সহায়তা সঠিক ভাবে পেয়ে সাধারন জনগন সন্তুষ্ট। মেয়রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা সম্পূর্ন বিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদীত।
প্রতিবেদক:মো:শিমুল হাছান,১৯ এপ্রির ২০২০