চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে মা’ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় ২২ দিনের মধ্যে কোনো প্রকার বরফ উৎপাদন ও পরিবহন করা যাবে না বলে প্রশাসন থেকে বলার পর ও বরফ মজুদ করে রাখায় ভ্র্যম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৮ পিছ তথা ৭২ মণ বরফ জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। মাছের যে গদিতে বরফ পাওয়া যায় সেটি সিলগালা করে দিয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন শনিবার (১৩ অক্টোবর) রাত ৯ টায় এ অভিযান পরিচালনা করে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লা আল-মাহমুদ জামান এর নেতৃত্বে চাঁদপুর রেলওয়ে কোর্ট স্টেশন এলাকার তারাবুনিয়া মেডিকেল হল সংলগ্ন মোহাম্মদ আলীর গদিঘর থেকে ১৮ পিছ বরফ জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত বরফগুলো ভেঙ্গে ধ্বংস করা হয়। অবৈধ ভাবে বরফ মজুদ করে রাখা গদিঘরের মালিক শহরের উত্তর শ্রীরামদী জামতলা এলাকার মোহাম্মদ আলী বেপারী।
এ ভ্র্যম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লা আল-মাহমুদ জামান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান।
অভিযানের সময় চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কমল চন্দ্রসহ নৌ-পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় সদরের নদীর পশ্চিম পাড়ের তারাবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা শহরের উত্তর শ্রীরামদী জামতলা এলাকার মোহাম্মদ আলীকে বরফ জব্দ করার সময় না পেয়ে তার গদিঘর সিগগালা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট। তবে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
শহরের বড় স্টেশন, কোর্ট স্টেশন, যমুনা রোড, টিলা বাড়ি, মাদ্রাসার রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থান থেকে বরফ এনে মজুদ করে রাখা হয়। সে বরফ পদ্মা-মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ নিধন করা পর অবৈধ ব্যবসায়ীরা নিধনকৃত মা ইলিশ বরফ জাত করে জেলার বিভিন্ন স্থানে ও চাঁদপুরের বাহিরে পাচার করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম