শীর্ষ সংবাদ

মেঘনা-ধনাগোদা পওর বিভাগের ৩ ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ ও ভূতড়ে পরিবেশ

দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে চাঁদপুর মেঘনা ধনাগোদা পওর বিভাগের স্টাফ কোয়াটারের ৩ টি বহুতল ভবন।

ওই ভবনগুলোতে কেউ বসবাস না করাতে এবং বহুবছর ধরে তা পরিত্যাক্ত থাকার কারনে বর্তমানে সেগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

তা ধসে পড়ে যে কোনো মূহূর্তেই ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা।

খবর নিয়ে জানা যায় পওর বিভাগের স্টাফদের জন্য সরকারি ব্যায়ে নির্মিত চার তলা বিশিষ্ট ওই ভবন তিনটির মধ্যে একটি ভবন ডি টাইপ। বাকি দুটির নাম ই টাইপ ভবন।

বর্তমান সময় থেকে ১৫/১৬ বছর পূর্বে এই ভবন তিনটিতে মেঘনা ধনাগোদা বিভাগে চাকরিরত স্টাফরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। এখন থেকে প্রায় ১৫/১৬ বছর পূর্বে ওই বিভাগে যারা চাকরি করার সুবাদে ভবন গুলো থেকেছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোকই চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ কিংবা বদলি হওয়ার কারনে ওইসব ভবনগুলোতে বসবাস না করাতে তা পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে আছে ।

চাঁদপুর শহর তলীর ওয়াপদাগেট এলাকায় নির্মিত মেঘনা ধনাগোদা পওর বিভাগের স্টাফ কোয়াটারে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর, দক্ষিন এবং পূর্বদিকে তিনটি চার তলা ভবন রয়েছে। ভবনগুলোর দরজা জানালা সব ভেঙ্গে গেছে। দেয়ালের রং আস্তর উঠে গিয়ে সেখানে শ্যাওলা পড়ে জমাট বেঁধে আছে। এছাড়াও ছাদের পাকা ঢালাই খসে পড়ে রড দেখা যাচ্ছে। দেয়ালের অধিকাংশ আস্তর খসে পড়ে গাছ গাছালি লতা পাতায় জড়িয়ে আছে। দেখলে মনে হয় রূপকথার ভূতের বাড়ি। একটি ভবন একেবারে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও অন্য দুটি ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ৫ থেকে ৭ জন পরিবার বসবাস করতে দেখা যায়। যে কোন মুহূর্তে ভবনগুলো ধসে পড়ার আতংকে রয়েছেন বাসিন্দারা।

ওই বিভাগে বর্তমানে চাকরিরত ডাটা এন্টি অপারেটর আলমগগীর হোসেনের সাথে আলাপ কালে তিনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘তিনি এখানে প্রায় ২০ বছর ধরে বসবাস করছেন। ভবন তিনটি প্রায় ১৫/১৬ বছর ধরে এভাবে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।’

তিনি জানান, একসময় ওই তিনটি ভবনে ২৪ জন স্টাফ তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করেছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ কিংবা অন্যস্থানে বদলি হওয়ার কারণে সে ভবন গুলো লোকশূন্য হয়ে পড়ে। পওর বিভাগের যারা অবসর গ্রহণ কিংবা বদলি হয়েছেন। সেসব পদগুলোতে পুণরায় নিয়োগ না হওয়ার কারনে স্টাফ কোয়াটারের ভবনে তেমন কেউই বসবাস করছেন না। বর্তমানে সেখানে মাত্র ৭ জন পরিবার থাকছেন। তাও আবার পওর বিভাগের ৫ জন স্টাফ আর ষোলঘর অন্য একটি কার্যালয়ের দু’জন স্টাফ বসবাস করছেন।

এ ব্যাপারে মেঘনা ধনাগোদা পওর বিভাগ পাউবো চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আতাউর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘যখন মেঘনা ধনাগোদা অবকাঠামো তৈরি করেছে, তখন প্রয়োজনের চেয়েও অনেক বেশি লোকের প্রয়োজন ছিলো। এখন সে পরিমান লোক প্রয়োজন হয়না বলেই এখান থেকে অনেকে বদলি হয়েছেন আবার কেউ কেউ অবসর নিয়েছেন। এজন্য কোয়াটার ভবন তেমন কেউ বসবাস করছেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘ আমাদের বিভাগে লোক দরকার ১শ জন, কিন্তু সেখানে রয়েছে মাত্র ৪৭ জন। তার পরেও বিভিন্ পদে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ হচ্ছে। গত ৬/৭ মাসে ১১ জন লোক নিয়োগ হয়েছে, আগামীতে দেখা গেছে এভাবে আরো লোক বাড়বে।’

পরিত্যাক্ত ভবনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব ক’টা ভবনতো আর ঝুঁকিপূর্ণ না। তার পরও আমরা বিশেষজ্ঞ দিয়ে জরিপ করে কিছু কিছু সার্ভেয়ার পক্রিয়ায় দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে পি ডাব্লিউর সহযোগিতা নিয়ে সহসাই ভবন গুলোর কাজ করা হবে।

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি
: আপডেট, বাংলাদেশ সম ৮: ৩৩ পিএম, ১২ জুন ২০১৭, সোমবার
ডিএইচ

Share