অভিবাবকদের অসর্তকতা ও অসবধানতার কারনে গরম পানিতে এবং গরম ডাল পড়ে শিশুদের শরীর ঝলসানো দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন দুর্ঘটনায় শরীর পুড়ে অনেক শিশু অকালে মৃত্যুবরণ ও করেছেন। অভিবাবক এবং বড়দের একটু অসাবধানতার কারনেই অনাকাঙ্খিত ভাবে ঘটছে এমন দুর্ঘটনা।
তেমনি ভাবে অভিবাবকদের অসাবধানতার কারনে গরম পানি এবং গরম ডাল পড়ে কোমলমতি তিন শিশুর শরীর ঝলসে বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে।
৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ৪র্থ তলায় সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে গরম পানিতে এবং গরম ডালে তিন শিশুর শরীর ঝলসে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।
এদের মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা গ্রামের নুরু মিয়ার আড়াই বছর বয়সী শিশু কন্যা নাফিজা আক্তারের মাতা তার গায়ের পোষাক খুলতে গিয়ে অসাবধানতার কারনে পাশে থাকা গরম ডালে পড়ে তার হাতের একাংশ পুড়ে যায়। নাফিজা ৫ দিন যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
দ্বিতীয় জন হাজীগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের শামীম হোসেনের এক বছর বয়সী সামিউল ও তার মায়ের অসাবধনতার কারনে খেলার ছলে গরম পানিতে শিশুর শরীর ঝলসে যায়। সামিউল ১৮ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অন্যদিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর গ্রামের জাকির হোসেনের ৬ বছর বয়সী শিশুকন্যা হালিমা আক্তারেরও গরম পানিতে শরীর ঝলসে গুরুতর আহত হন। তার শরীরের প্রায় ষাট শতাংশ পুড়ে গেছে। সে ১৪ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হালিমার স্বজনরা জানায়, ঘটনার দিন হালিমা বাড়ির পুকুর ঘাটে গোসল করছিলো। এ
কই বাড়ির এক যুবক গরম পানি নিয়ে ঘাটে গোসল করতে গেলে সে পা পিছলে গেলে ওই গরম পানি গিয়ে হালিমার শরীরে পড়ে। এতে তার শরীররের অধিকাংশ পুড়ে গিয়ে গুরুতর ভাবে আহত হয়।
এছাড়াও গরম পানি এবং গরম ডাল কিংবা তরকারির পড়ে অনেকে শিশুর শরীরে পড়ে পুড়ে যাবার পর অভিবাবকরা শিশুদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।
এমনি ভাবে প্রায় সময়ই হাসপাতালের জরুরী বিভাগে শিশুদের শরীর ঝলসানো রোগীর দেখা মিলে। খবর নিয়ে জানা গেছে তারাও গরম পানি কিংবা ডালে পড়ে আহত হয়েছেন।
এসব দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাযায় অধিকাংশ দুর্ঘটনা গুলোই অভিবাবক এবং বড়দের একটু অসাবধানতার কারনে ঘটেছে। তাই চিকিৎসক এবং সচেতন ব্যক্তিদের পরামর্শ অভিবাবকরা একটু সাবধানতা ও সর্তক থাকলে এমন অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা থেকে শিশুরা অনেকটা রক্ষা পাবে।
কবির হোসেন মিজি