শিক্ষাঙ্গন

অভিন্ন প্রশ্নে পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার সুপারিশ

২০১৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে সব শিক্ষা বোর্ডে অধীনের সব পাবলিক পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে নেয়াসহ ১৫ দফা সুপারিশ করেছেন শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা।

সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েধেছ পাবলিক পরীক্ষার সময় এবং শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমাতে এসএসসি পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা, চারু ও কারুকলা ও ক্যারিয়ার শিক্ষাকে পাবলিক পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত না করে এগুলোকে বিদ্যালয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা।

বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) ও সৃজনশীল প্রশ্নের মানোন্নয়নে আইটেম ব্যাংক (নাম পরিবর্তন হতে পারে) করা। ২০১৯ সাল থেকে সব বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া।

২০১২ সালের শিক্ষাক্রম পর্যালোচনার জন্য দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অন্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা। নবম ও দশম শ্রেণির কয়েকটি বই পরিমার্জন করে আকর্ষণীয় সুখপাঠ্য করা।

মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের অংশগ্রহণে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত কর্মশালার সুপারিশমালা তুলে ধরে সোমবার (২৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল্লাাহ আবু সায়ীদ বলেন, এখানে সাধ্যের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এটাই শেষ কথা নয়।

৪টি বিষয় কখন থেকে পাবলিক পরীক্ষায় অন্তর্ভূক্ত না করে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে তা আরও পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান শিক্ষামন্ত্রী।

পরীক্ষার এমসিকিউ এবং সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরির জন্য একটি ‘আইটেম ব্যাংক’ করারও সুপারিশ এসেছে বলে জানান নাহিদ।

জানা যায়, এতদিন এই ব্যাংকের নাম ছিল প্রশ্নব্যাংক। যশোর বোর্ডের প্রশ্নব্যাংক নিয়ে প্রশংসামূলক লেখাও লিখেছেন শিক্ষাবিদ ড.মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

২৯ নভেম্বর এর সংবাদ সম্মেলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রধান নির্বাহী রাশেদা কে চৌধুরী ও শিক্ষাসচিব মো: সোহরাব হোসাইন।(শিক্ষাবার্তা)

নিউজ ডেস্ক ।। আপডটে, বাংলাদশে সময় ৮ :৩৩ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৬, মঙ্গলাবার
এজি/ এইউ

Share