Home / বিনোদন / অভিনেত্রী প্রিয়া আমানের দৃষ্টি হারানোর পথে
অভিনেত্রী প্রিয়া আমানের দৃষ্টি হারানোর পথে

অভিনেত্রী প্রিয়া আমানের দৃষ্টি হারানোর পথে

বিনোদন ডেস্ক | আপডেট: ১১:৪৫ এএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৫, শনিবার

কয়েক মাস আগেই শোনা গিয়েছিলো চোখে লেন্স ব্যবহার করায় ইনফেকশন হয়ে দৃষ্টি হারানোর শংকায় পড়েছেন কণ্ঠশিল্পী আরেফিন রুমির দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে বর্তমানে তার অবস্থা আশাজনক। এবার এল নতুন আরেক দুঃসবাদ। একই সমস্যার মুখোমুখী ছোট পর্দার অভিনেত্রী প্রিয়া আমান।

জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ন লেন্স ব্যবহারের কারণে তার দুটি চোখের কর্ণিয়াই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে তিনি এখন চোখে কিছু দেখতে পারছেন না।

প্রিয়া আমান জানান, সম্প্রতি কারওয়ান বাজারের ইউটিসি ভবনের এক শুটিং হাউজে কায়সার আহমেদের ‘ইয়েস ম্যাডাম নো স্যার’ ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করছিলেন। সেখানে চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি চোখে আলগা লেন্স ব্যবহার করেন। নিজেই ৩০ সেপ্টেম্বর ফার্মগেট থেকে চোখে ব্যবহারের জন্য লেন্সটি কিনেছিলেন।

শুটিং শেষে লেন্স খুলে ফেলার পরপরই তিনি চোখে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। আস্তে আস্তে চোখে দেখতেও সমস্যা অনুভব করেন। তিনি বলেন, ‘লেন্স খোলার পর চোখে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভব করি। এরপর থেকে আমি চোখে কিছু দেখতে পারছি না।’

রাস্তায় হঠাৎ দৃষ্টি হারিয়ে ও চোখে ব্যথা অনুভব করায় প্রিয়া চিৎকার করে উঠেন। তার চিৎকারে রাস্তায় দাঁড়ানো পুলিশ এগিয়ে আসে। চোখে ব্যথার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, সেখানেই জ্ঞান হারান। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে যান। সেখান থেকে তাকে একটি চক্ষু হাসপাতালে নেওয়া হয়।

চোখের চিকিৎসকরা চিকিৎসা দেয়া শেষে তাকে জানান, যে লেন্সটি তিনি চোখে পরেছিলেন, সেটি ছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ। এ কারণে লেন্সের রং চোখের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে কর্ণিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

 প্রিয়া বলেন, ‘আমি ভাবতেও পারছি না লেন্স ব্যবহারের ফলে এভাবে সমস্যায় পড়তে হবে। আমি আবার সবকিছু দেখতে চাই। চোখ নষ্ট হয়ে গেলে আমার কী হবে? কীভাবে আমি দেখব?’ এসব কথা বলতে বলতে কাঁদছিলেন প্রিয়া।

প্রিয়া জানালেন, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কয়েকটি নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিতে পারেননি তিনি। এ জন্য কয়েকজন নাট্য পরিচালকের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে তার। অনেকেই ভাবছেন প্রিয়া ইচ্ছে করেই মিথ্যে বলে শিডিউল ফাঁসাচ্ছেন। এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তার চোখের দৃষ্টি যেন নষ্ট না হয় তার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

প্রিয়ার পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, শিগগির প্রিয়ার চোখের চিকিৎসার জন্য ভালো কোনো চক্ষু হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ছোট পর্দার পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও প্রশংসিত অভিনেত্রী প্রিয়া আমান। দর্শকনন্দিত অভিনেতা সোহেল রানার ‘অদৃশ্য শত্রু’ ছবি দিয়ে রুপালি জগতে পা রাখেন প্রিয়া। এ সিনেমায় জায়েদ খান ও সোহেল রানার পুত্র নবাগত মাশরুর পারভেজের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি।

সম্প্রতি কাজ করছেন ‘বিজয়িনী’ শিরোনামের একটি ছবি। সরকারি অনুদানে ছবিটি পরিচালনা করছেন শারমীন সুলতানা শর্মী। এতে অভিনেতা অমিত হাসানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন তিনি।

এমআরআর