চাঁদপুর দেশের একটি নদীমাতৃক ও পরিবেশ বান্ধব জেলা। এ জেলায় পরিবেশ রক্ষার্থে একের পরে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে কাজ করে আলোচিত হয়েছেন চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের বর্তমান উপ-পরিচালক এ এইচ এম রাশেদ।
২৩ এপ্রিল ২০১৯ চাঁদপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরে যোগদান করার পর তিনি জেলায় পরিবেশ রক্ষার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। অফিসের সব কিছুই নতুনভাবে সাজানোর চেষ্টা করছেন। । তিনি অনার বোর্ড পরিবর্তন, পিতলের নেম প্লেট পরিবর্তন, দেয়াল লিখন, লাইটিং, বিভিন্ন জায়গা সাইনবোর্ড টানানো, ফেস্টুন পালাকার্ড সহ নানা কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ ২০ জুন ‘আসুন আমরা বায়ু দুষণ রোধ করি’ এ স্লোগানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করি। ঐ দিন সকালে আমাদের বর্ণাঢ্য র্যালি সার্কিট হাউজ সম্মুখ থেকে বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ঔ দিন সকালে দিবসের শুরুতে শহরের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার এলাকায় ব্যাপক বৃক্ষরোপণ করা হয়। সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের মোলহেডে পরিবেশ সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার জন্যে স্নাইডে ভিডিও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া অফিসের বাইরের দেয়ালে সচেতনামূলক বিভিন্ন লেখাসহ চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিলবোর্ড টানানো হয়। চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে থেকে যতগুলো লঞ্চ ছেড়ে যায় প্রত্যেকটা লঞ্চ মালিকে কে চিঠি দেয়া হয়েছে। প্রতিটি লঞ্চে ডাস্টবিন রাখা ও নদীর পরিবেশ রক্ষার্থে লঞ্চ থেকে কোনো প্রকার ময়লা আবর্জনা যাতে নদীতে ফেলা না হয় । ইতিমধ্যে অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ,নকল উৎপাদিত পণ্য জব্দ করা হয়েছে ।
চাঁদপুর শহরের প্রতিটি স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশ রক্ষার স্লোগান সম্পর্কিত লিফলেট বিতরণ ও পুকুর, ইটভাটা, রাইস মিল ও খালের পাশে সচেতনতামূলক ফেস্টুন টানানোর ব্যবস্থা করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
কিছু দিনের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন হাট-বাজারে, স্কুল-কলেজে সচেতনতামূলক সভা করব। যেখানে পুকুর রক্ষা, খাল রক্ষা, নদী রক্ষা, শব্দ দূষণ রোধ, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষাসহ আরো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জনগণকে সচেতন করার চেষ্টা করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।
চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের ১২টি পদে জনবল আছে মাত্র ৪ টি । বাকি পদগুলো এখনো শূন্য। মনোবল ও পূর্ব অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপ-পরিচালক্ এ এইচ এম রাসেদ।
প্রসঙ্গত,জাতীয় শুদ্ধাচার ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয় হতে এ এইচ এম রাশেদ কে পুরস্কার প্রদান করা হয়। তখন তিনি বরিশালে পরিবেশ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক ছিলেন।
বার্তা কক্ষ
২৪ জুন ২০১৯
এজি