অব্যাহতি পেয়ে ভীষণ হ্যাপি রুবেল

‎Thursday, ‎21 ‎May, ‎2015   12:01:55 AM

বিনোদন প্রতিবেদক :

মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপির করা মামলা থেকে জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক তানজিনা ইসলাম চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর হ্যাপির নারাজির আবেদন বুধবার নামঞ্জুর করে রুবেলকে অভিযোগ থেকে চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দিয়েছেন।

অব্যাহতি পেয়ে ভীষণ হ্যাপি রুবেল। তিনি বলেছেন, ‘খুব ভাল লাগছে। মনে হচ্ছে অনেক দিন পর মাথার উপর থেকে একটা চাপ কমে গেল। মানসিকভাবে বেশ শক্তিশালী বিধায় আমি ক্রিকেটে মনোযোগী হতে পেরেছিলাম। তার পরও মাথার মধ্যে বাড়তি একটা চাপ সব সময়ই থাকত। সে সব এখন আর নেই; আমার সমস্ত মনযোগ এখন ক্রিকেটকে নিয়েই। আমার খুব ভাল লাগছে।’

দেশবাসী বুঝেছে এটা মিথ্যা মামলা ছিল; এমনটাই মনে করছেন রুবেল। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিতে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে মাননীয় আদালত আমাকে অব্যাহতি দিয়েছেন। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই তিনি এই রায় দিয়েছেন। সবাই এটা দেখেছে। সবাই এখন বুঝতে পারবে, আমি নির্দোষ ছিলাম।’

বুধবার নাজনীন আক্তার হ্যাপি জানিয়েছিলেন, তিনি হাইকোর্টে মামলা করবেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল। এখন বুঝতে পারছি আইন দুর্বলের জন্য নয়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। সুষ্ঠু বিচারের আশায় অচিরেই হাইকোর্টে আপিল করব।’

যেহেতু রুবেল অব্যাহতি পেয়েছেন; সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে রুবেল মানহানির মামলা করবেন কি-না। সর্বত্র এই প্রশ্ন উঠলেও রুবেল এই ইস্যুতে কিছু বলতে নারাজ। শেষমেশ বললেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখনো কিছু চিন্তা করিনি। আমার আইনজীবী আছেন তার পরামর্শমতোই কাজ করব।’

তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমার সমস্ত মনোযোগ ক্রিকেটকে নিয়েই। আমি ক্রিকেট নিয়েই পড়ে থাকতে চাই। কিছুটা চিন্তিত ছিলাম। এখন সব চিন্তা ক্রিকেট নিয়ে। আমি বর্তমানে খুব হ্যাপি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর নাজনীন আক্তার হ্যাপি মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেছিলেন- ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল হ্যাপির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক হালিমা খাতুন আসামি রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতের মিরপুরের জিআর শাখায় মামলার দায় থেকে রুবেলকে অব্যাহতিদানের চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল হক চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি স্বাক্ষর করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) বরাবর পাঠান। ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ মামলাটি বদলি করেন।

 

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫

 

নিয়মিত ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন : www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes

চাঁদপুর টাইমস’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Share