পৌরসভার জায়গায় অবৈধ দোকান ও বর্ধিত অংশ ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নবনির্বাচিত মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল। ৪ নভেম্বর বুধবার চাঁদপুর শহরের পালবাজারসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
তার সাথে ছিলেন স্থানীয় তথা ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল রানা এবং পার্শ্ববর্তী ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শফিকুল ইসলামসহ পৌরসভার বাজার শাখার কর্মকর্তাগণ। তিনি বাজারের ভেতরে ঢুকে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখেন।
সেখানে মানুষের হাঁটাচলার পথে দোকানের মালামাল রেখে গলিপথকে খুবই সঙ্কুচিত করে ফেলা হয়েছে। আবার কেউ কেউ তার দোকানের অংশের বাইরেও হাঁটাচলার পথ দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। এমন চিত্র পালবাজারের ভেতরে কাঁচামালের আড়ত এবং মুদি দোকান এলাকায় বেশি দেখা যায়।
পালবাজারের কাঁচামালের আড়ত বকুলতলা রোডের দুই পাশে অবস্থিত। এই রোডটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রোড। বিশেষ করে রেলওয়ে কাঁচ্চা কলোনী, ক্লাব রোড, জামতলা, নিশিরোড, কবরস্থান রোড, মাদ্রাসা রোড, রেলওয়ে কলোনী, জেটিসি কুলিবাগান, বড় স্টেশন এবং যমুনা রোড এলাকাসহ আশপাশে যারা বসবাস করেন তাদের স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের অধিকাংশই লেডি প্রতিমা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ে। তারা এই বকুলতলা রোড দিয়েই স্কুলে আসা যাওয়া করে থাকে। এছাড়া বকুলতলা এলাকায় আরো অনেক ভালো ভালো পরিবার এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বসবাস করেন। তারা এই বকুলতলা রোডটিই ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু দেখা গেছে যে, কাঁচা মালের আড়তদাররা তাদের তরিতরকারি দোকানের বাইরে রেখে এবং ভ্যানগাড়ি ও অটোবাইক ঢুকিয়ে পুরো রাস্তাটি দখল করে থাকে। তখন আর কোনো মানুষের পক্ষে এই রোড দিয়ে হাঁটাচলা সম্ভব হয়ে উঠে না। এমন বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছে দীর্ঘদিন যাবত। এই রোডটির বিশৃঙ্খল অবস্থা দূর করতে ইতিপূর্বে অনেকবার পৌরসভা থেকে উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয় নি। বর্তমান মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের কাছে জনগণের প্রত্যাশা তাঁর দ্বারা এই বকুলতলা সড়কটি জনগণের হাঁটাচলার জন্যে একেবারেই নির্বিঘ্ন হয়ে উঠবে এবং সড়কের পাশে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হবে। আর পুরো বাজারটি একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে।
পৌরবাসীর প্রত্যাশার আলোকেই মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল গতকাল পালবাজার এবং বকুলতলা রোড এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দোকানদারদেরকে গলিপথ দখল করে দোকানের মাল না রাখতে নির্দেশ দেন। একই সাথে যারা পৌরসভার জায়গা এবং রাস্তা দখল করে দোকানের বর্ধিত অংশ গড়ে তুলেছে, তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিজ উদ্যোগে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। এছাড়া যারা ফুটপাত দখল করে দোকানের মালামাল রাখছেন তাদের দিয়ে তাৎক্ষণিক তিনি ফুটপাত দখলমুক্ত করেছেন। আবার কেউ কেউ নিজের দোকানের ময়লা আবর্জনা দোকানের সামনে রাস্তায় ফেলায় তাদের দ্বারাই সে ময়লা তুলতে বাধ্য করেছেন মেয়র নিজে দাঁড়িয়ে থেকে।
তাঁর এ সব কাজ সর্ব মহলে প্রশংসনীয় হয়েছে। মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের এমন জনকল্যাণমূলক কাজ অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ৪ নভেম্বর ২০২০