সিভিল সার্জনের সাথে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোনিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১১টার দিকে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোনিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা. এসএম সহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহীনের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদাত হোসেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএমএ চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও এসোনিয়েশনের নির্বাহী সদস্য ডা. হারুন অর রশিদ সাগর, সিভিল সির্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. এইচএম হুমায়ুন ইসলাম খান, ডা. মো. জাহিদুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। তবে সরকারের একার পক্ষে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া সম্ভব না। এ ক্ষেত্রে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো বিশাল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে ।
তিনি বলেন, আপনাদের এই প্রতিষ্ঠানগুলো সেবা কেন্দ্রীক। তাই আপনারা ব্যবসার আগে সেবাকে বেশি গুরুত্ব দিবেন। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ পাইভেট হাসপাতালগুলোতে গরীব রোগীদের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়া দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। তাই গরীব রোগীদের সরকার নির্ধারিত ছাড় দিতে সবাইকে সচেতন হবে।
সভায় প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতে একাধিক মেডিকেল অফিসা এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে দক্ষ ট্যাকনিশিয়ান রাখার উপর গুরত্ব আরোপ করা হয়৷। প্রতিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট হাসপাতালের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয়য় কাগজপত্র হালনাগাদ বা নবায়ন রাখা স্বাস্থ্য অধিপদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক সঠিক মূল্য তালিকা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
সিভিল সার্জন বলেন, অনেক প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুয়া ডাক্তার প্যাকটিস করেন। তাদের বিএমডিসি নাম্বার চেক করে আমাদের সহযোগীতা করবেন। কোন চিকিৎসক সাইনবোর্ড, প্যাড বা ভিজিটিং কার্ডে পার্ট-১, পার্ট-২, পিজিটিসহ অতিরিক্ত পদবী লিখতে পারবে না। এসব প্রতারণার সামিল। যা আইনত অপরাধ। দাললনির্ভর কথিত প্যাথলজি ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোনিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা বলেন, বর্তমানে যে কেউ চাইলে ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলতে পারে। পূর্নাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং দক্ষ জনবল ছাড়া কেউ যাতে প্রাইভোট হাসপাতাল কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালাতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। মানহীন, অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে যাতে নিয়মিত ব্যবস্থা নেয়া হয় সে দাবী জানানো হয় সভায় ।
অবৈধ, মানহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে প্রতিমাসে অন্তত একবার সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোনিয়েশনে যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোনিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি কিশোর সিংহ রায়, মো. সফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বী পাটওয়ারী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু সুফিয়ান হেলাল, কোষাধ্যক্ষ বিজয় চন্দ্র সরকার খোকন, দপ্তর সম্পাদক মো. মহসিন, প্রচার সম্পাদক মো. সোহেল হোসেন, নির্বাহী সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ জুয়েল, মো. সামছুল আলম, মো. মাঈন উদ্দিন, আবদুল কুদ্দুস, অঞ্জন মিত্র, মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী, আবু ইউসুফ তালুকদার মানিক প্রমুখ।
প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩