চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে উপজেলার ১১ নং চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের পশ্চিম একলাশপুর এলাকায় কৃষিজমি থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করায় ফসলি জমি ও সাধারন মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এবং বসত বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। প্রতিকার চেয়ে স্থানীয়রা সহকারী কমিশনার ভূমি ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পশ্চিম একলাশপুর গ্রামের অধিবাসী মো. কফিল উদ্দিন তাদের পারিবারিক জমির ক্ষতির অভিযোগ এনে ভূমি অফিস ও ফরিদগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ ও সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, পশ্চিম একলাশপুর গ্রামের মৃত মো. আজিদ পাটওয়ারীর ছেলে মো. শফিউল্যা পাটওয়ারী ও ড্রেজার ব্যবসায়ী ইউসুফসহ কয়েকজন মিলে অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন শুরু করেন। মো. শফিউল্যা পাটওয়ারীর নতুন নির্মাধীন বাড়ির পাশে ও মো. ফিল উদ্দিনের ফসলি জমির পাশে ২টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে অপরিকল্পিত ভাবে খনন করছেন। বর্তমানে অবৈধ ড্রেজার বালু উত্তোলনের কারণে কফিল উদ্দিনের কৃষিজমি পাশের অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শফিউল্যা পাটওয়ারী ও ড্রেজার ব্যবসায়ী ইউছুফকে কয়েকবার বাঁধা সৃষ্টি করলে শফিউল্যার উপর চড়াও হয়ে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি ভয়-ভীতি দেখান। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে মেশিন বন্ধ করার দাবিতে এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে শফিউল্যা পাটওয়ারীকে ড্রেজার চালানোর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি কিছু না বলেই ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
এ বিষয়ে ড্রেজার ব্যবসায়ী ইউছুফ বলেন, আমি ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মাটি ও বালি উত্তোলন করছি।
অভিযোগকারী কফিল উদ্দিন বলেন, পশ্চিম একলাশপুর গ্রামের শফিউল্যার ছেলে মো. হারুন পাটওয়ারী ও ড্রেজার মালিক মোস্তফাকে দিয়ে গত কয়েকদিন যাবত আমার ফসিল জমির পাশে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে ফসলি জমি ভেঙে যাওয়া আশঙ্কা বিরাজ করছে এবং ওই বিলের বিশ একর ফসলি জমির ক্ষতি সাধন করেছে। উপায় না পেয়ে আমি ভূমি অফিস ও থানায় লিখিত অভিযোগ করছি।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্ত কারী অফিসার ফরিদগঞ্জ থানার এস.আই বরকত উল্লা জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রেজার বন্ধ করে দিয়েছি
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২