মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়ায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে ১১৩ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। স্লোভেনিয়ার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আটককৃতদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি।
সোমবার স্লোভেনিয়ার পুলিশ প্রশাসনের মুখপাত্র আনিকা লেস্কোভিচ দেশটির স্থানীয় এক গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, স্লোভেনিয়ায় এর আগে কখনও একদিনে একসঙ্গে এত বেশি অভিবাসীকে আটক করার ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, যেহেতু স্লোভেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী শহর ইলিরস্কা বিস্ট্রাসে এ ঘটনাটি ঘটেছে, তাই ধারণা করা হচ্ছে এ সকল অভিবাসীর বেশিরভাগই ক্রোয়েশিয়া থেকে স্লোভেনিয়া হয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশ বিশেষ করে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্সে যেতে মূলত রুটটি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন।
এদিকে এ ঘটনায় স্লোভেনিয়ার জনসাধারণের মাঝে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্লোভেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেস হোস জানিয়েছেন, একসঙ্গে এত সংখ্যক অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে আটকের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় স্লোভেনিয়াসহ আশপাশের দেশগুলোকে ঘিরে মানবপাচারের একটি বিশাল চক্র গড়ে উঠেছে।
এর আগেও গত সপ্তাহে স্লোভেনিয়ার অন্য একটি সীমান্তবর্তী শহর সেলইয়েতে এক লরি থেকে ৩৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়।
স্লোভেনিয়ার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আট মাসে দেশটিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে সর্বমোট ১০ হাজার ২২৩ জনকে আটক করা হয়েছে যা বিগত বছরের তুলনায় ৩.৩ শতাংশ বেশি।
স্লোভেনিয়ার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটককৃতদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও মরোক্কোর নাগরিক।
বার্তাকক্ষ, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০;