Home / চাঁদপুর / অবাধ্য ছেলেকে পুলিশে দিলেন বাবা
ছেলেকে

অবাধ্য ছেলেকে পুলিশে দিলেন বাবা

চাঁদপুর শহরে পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান মো: সজিব রহমান বেপারী (১৯)কে পিতা শাহাআলম বেপারীকে নির্যাতন করায় এলাকাবাসীর সহায়তায় পিতা তার সন্তানকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। এ বিষয়ে মা একমত প্রকাশ করেন।

বৃহস্পতিবার রাত অনুমান ১০টার দিকে শহরের পালবাজার সংলগ্ন বকুলতলা রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলোনীর বেসরকারী একটি বাসায়।

সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মহসিন আলমের নিদ্দের্শে মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিব হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মো: সজিব রহমান বেপারীকে আটক করে মডেল থানায় নিয়ে আসেন। এ বিষয়ে সজিবের পিতা শাহাআলম চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, অসহায় বাবা পেশায় একজন ফেরীওযালা। মাঝে মধ্যে সে শহরের পালবাজারে মাছও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি শহরের বিভিন্ন স্থানে রেইছফিতা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। সে শহরের বকুলতলা এলাকার ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়া বেপারীর মেয়েকে বিয়ে করার সুবাদে রেলওয়ের জায়গায় একটি টিনসেট ঘর নির্মাণ করে কোন রকম মাথা ঘুজার ঠাই করে বসবাস করে যাচ্ছেন।

পিতা শাহাআলম বলেন, একমাত্র সন্তান সজিব রহমান বেপারী গত ২০২১ সালে এসএসসি পাস করে পুরানবাজার ডিগ্রী কলেজে এইচএসসিতে ভর্তি হয়। এইচ এসসি টেস্ট পরীক্ষায় ৩ বিষয়ে রেজাল্ট খারাপ করায় এইচ এসসি পরীক্ষা দিতে পারে নাই। তার পর থেকে সজীব পড়াশুনা বাদ দিয়ে বখাটে প্রকৃতির ছেলেদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে । সে পড়ালেখা বাদদিয়ে বাসা থেকে বাহির হয়ে সারা দিন শহরের বিভিন্ন খারাপ প্রকৃতির ছেলেদের সাথে ঘুরাফেরা করে এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে বলে তার পিতা শাহাআলম পুলিশ প্রশাসনের কর্মকতর্কাদের জানিয়েছে।

তিনি আরো বলেন,রাত ২টা ৩টায় বাসায় ফিরে। বাসায় এসে দরজা খুলতে বলে দেরী হলে দরজা ভেঙ্গে ফেলবে বলে তার পিতাকে হুমকি ধমকি দেয় বলেও জানান। সে আমার কাছে টাকা চায় টাকা দিতে না পারলে আমার ঘরের মালামাল ভাংচুর করে এবং আমাকে নির্যাতন করে তার মাকে নির্যাতন করে।

গতকাল রাতে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাসার সোফার গদি তছনছ করে। বড় দা’দিয়ে সোফা কুপিয়েছে এবং মালামাল তচনছ করে, ঘরে থাকা কাঠের আরমারির গ্লাস ভাংচুর করে। এ সময় সজিবের পিতা শাহআলম বাধা দিলে তাকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেয় বলে জানান।

পরে অসহায় বাবার অনুরোধে একজন মিডিয়া কর্মী বিষয়টি চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মহসিন আলমকে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করায় বখাটে ছেলে কোন ক্ষতিসাধন করতে পারেননি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ২৮ জুন ২০২৪