প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণের পরে তিনি তার গ্রামে বাস করবেন। তিনি বলেন, ‘যখনই আমি রাজনীতি থেকে অবসর নেব, আমি আমার গ্রামে চলে যাব এবং এটিই আমার সিদ্ধান্ত।’
মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরে প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে একথা বলেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা পার্টির (ভিডিপি) ৩৯তম জাতীয় সমাবেশ উপলক্ষে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাদের পারফরমেন্স প্রদর্শন করেন।
আনসার ও ভিডিপি লেকে আনসার সদস্যদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৌকায় উঠে দুই শিশুর নৃত্য দেখে প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন । বলেন, নৌকায় এই দৃশ্য দেখে তার কিশোর বেলার স্মৃতি স্মরণে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা তার স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, ‘আমার পিতামহের একটি বিরাট পানসি নৌকা ছিল, এটিতে দুটি কক্ষ ও জানালা ছিল। আমি যখন এটিতে উঠতাম, জানালার কাছে বসে হাত দিয়ে পানি স্পর্শ করতাম।’
তিনি বলেন, ‘নৌকায় অন্যরাও থাকতো বিশেষ করে আমার ভাই (শেখ কামাল), সে নৌকার ছাদ থেকে লাফ দিত এবং নৃত্য করতো । যখন আমি নৌকা দেখি, আমার কিশোর বেলার স্মৃতি স্মরণে আসে।’
প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করার তার সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো গ্রামের লোকদের কাছে শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেয়া, যাতে তারা উন্নত জীবন পায় এবং সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আজকের শিশুদের আরও উজ্জ্বল এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ চাই পাশাপাশি তারা প্রযুক্তিভিত্তিক হয়ে উঠুক। আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন, তার লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা। ‘আমাদের অঙ্গীকার এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। আমরা ক্ষুধা দূর করেছি এবং উল্লেখযোগ্য হারে দারিদ্র্য কমিয়ে এনেছি। দারিদ্র্য হার আরো কমিয়ে আনব, বাংলাদেশ আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে, এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা প্রতিটি গ্রামে পরিবর্তন আনবে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সুন্দর দেশ এবং আমাদের মাতৃভূমি গঠনে আমাদের সবাইকে এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে আমাদের মাথা সমুন্নত রাখতে পারি, আমাদের অন্যের কাছে হাত পাততে না হয়। আমরা নিজস্ব সম্পদে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবো।’
মন্ত্রী, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান, কূটনীতিকরাসহ ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
বার্তা কক্ষ
১৩ ফেব্রুয়ারি,২০১৯