পুলিশ বলছে, অভাবের সংসারে সন্তানের জন্য ‘দুধ জোগাড় করতে না পেরে’ ওই পথ বেছে নিয়েছেন ওই নারী।
সাথী আক্তার নামের ২১ বছর বয়সী ওই তরুণী দোহার উপজেলার উত্তর জয়পাড়া মিয়াপাড়া এলাকার মো. বাচ্চুর স্ত্রী। তাদের সন্তানের নাম ছিল মো. সায়েম।
দোহার থানায় এসআই মো. হাফিজুর রহমান জানান, ছেলেটির বাবা বাচ্চু সোমবার রাতে তার স্ত্রী সাথীকে আসামি করে দোহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার সাথীকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
মামলার বরাত দিয়ে এসআই হাফিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাচ্চু পেশায় একজন দিনমজুর। বছর তিনেক আগে সাথীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সাবিহা আক্তার নামে দুই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে তাদের।
“রোববার সায়েমের জন্য স্বামীকে দুধ আনতে বলেছিলেন সাথী। কিন্তু সন্ধ্যায় স্বামী দুধ না নিয়ে বাড়ি ফিরলে দুধের টাকা জোগাড় করার জন্য প্রতিবেশীদের কাছে ধর্না দেন তিনি। টাকা জোগাড় করতে না পেরে রাত ৮টার দিকে রাগে ক্ষোভে দুই মাসের সন্তানকে তিনি লবণ খাইয়ে দেন।”
লবণ খাওয়ানোর পর সায়েমের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সাথী নিজেই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান এসআই হাফিজ।
তিনি বলেন, সোমবার খবর পেয়ে পুলিশ উত্তর জয়পাড়ার মিয়াপাড়া এলাকা থেকে সাথীকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সায়েমকে লবণ খাওয়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেন।
বাচ্চু বলেন, “আমাদের সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকে। আমার স্ত্রী ছেলের জন্য দুধ আনতে বলেছিল, আনতে পারিনি। দুধের টাকা জোগাড় করতে না পেরে রাগে কষ্টে সে ছেলেকে মেরে ফেলেছে।”