দ্বিতীয় সাবমেরিনের সাথে যুক্ত হলো বাংলাদেশ

ভাষা দিবসে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হলো বাংলাদেশ। উচ্চগতির এই নতুন মহাসড়কে দেশের সংযুক্তি নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করবে।

কেবলমাত্র প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে প্রতি একক নির্ভরতা কমাবে এই নতুন সংযুক্তি। এখন প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটি-যান্ত্রিক গোলযোগ হলেও একেবারে অচল হবে না দেশের ইন্টারনেট সংযোগ।

বিশ্বের তথ্য মহাসড়কের আধুনিকতম সংস্করণে বাংলাদেশকে যুক্ত করে এসব আশার কথা শোনালেন দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পের পরিচালক পারভেজ মনন আশরাফ।

তিনি বলেন,‘প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের বিকল্প হিসেবে এলো দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল। এখন থেকে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা যেকোনো যান্ত্রিক গোলযোগে দেশের ইন্টারনেটে বিপর্যয় নেমে আসবে না বলে আশা করি। আসলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার শঙ্কা দূর করতেই দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিলো।’

দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল দেশের উচ্চসতির ইন্টারনেট অগ্রযাত্রায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এমন আশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন,‘সি-মি-উই ফোরের পর এবার সি-মি-উই ফাইভে যুক্ত হলাম আমরা। অচিরেই ফোর-জি চালু হচ্ছে। তখন উচ্চসতির ইন্টারনেট চাহিদা পূরণে মেরুদ- হিসেবে কাজ করবে নতুন এই সাবমেরিন ক্যাবল। কারণ নেটওয়ার্কের আসল ভিত্তিটা হলো ক্যাবল। অদূর ভবিষ্যতের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক বাস্তবায়নের পথও সুগম হলো। এই সাবমেরিন ক্যাবল উচ্চগতির ইন্টারনেট ও নিরবিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করবে।’

ইন্টারনেটের দ্বিতীয় এ মহাসড়কে যুক্ত হওয়ার কাজ শেষ হলেও এখনও কুয়াকাটার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ঢাকায় ব্যান্ডউইথ আনার লিংক তৈরি হয়নি।

কারিগরি এই অসম্পূর্ণতা স্বীকার করে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের প্রকল্প পরিচালক বলেন,‘ লিংক তৈরির কাজ অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করছি। নতুন সাবমেরিন ক্যাবলে ১৫ টি আলোকতরঙ্গের প্রতিটি দিয়ে ১’শ জিবিপিএস অর্থাৎ মোট দেড় হাজার জিবিপিএস পাবে বাংলাদেশ। বর্তমানে মাত্র দু’টি আলোকতরঙ্গ দিয়ে আমরা ২’শ জিবিপিএস পাচ্ছি।’

২০১৪ সালের মার্চে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) সিম-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়ামে যুক্ত হওয়ার জন্য চুক্তি করে। গত ১৩ ডিসেম্বর সিম-মি-উই-৫ কর্তৃপক্ষ সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল স্থাপনের কাজ শেষের ঘোষণা দেয়। এ সময়ে বাংলাদেশ কুয়াকাটা অংশে ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করে। প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে।

ইতোমধ্যে কারিগরি উন্নতির মাধ্যমে বর্তমানে চালু সিম-মি-উই-৪ ক্যাবলের ক্ষমতা ১০০ জিবিপিএস বাড়ানো হয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিল ২০০ জিবিপিএস। মোট ব্যান্ডউইথের মধ্যে দেশে ব্যবহার হচ্ছে ১৭৬ জিবিপিএস। এর মধ্যে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ১০ জিবিপিএস।

সুত্রঃ চ্যানেল আই অনলাইন
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় : ৩০ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, মঙ্গলবার
ডিএইচ

Share