গাজায় প্রতি ১০ শিশুর মধ্যে একজন অপুষ্টির শিকার

জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক শরণার্থী সংস্থা বলছে,গাজায় প্রতি ১০ শিশুর মধ্যে একজন অপুষ্টিতে ভুগছে। এর কারণ হিসেবে জাতিসংঘ জানিয়েছে,মানবিক সাহায্য সরবরাহের ওপর ইসরাইলি অবরোধের কারণেই গাজায় অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। খবর আল জাজিরার।

ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি মঙ্গলবার বলেছেন, গাজায় ত্রাণ প্রবেশে ইসরাইলের কঠোর বাধার ফলে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ক্ষুধার্ত শিশুদের এ পরিস্থিতি ‘পরিকল্পিত এবং মানবসৃষ্ট’ বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। লাজ্জারিনি বলেন,জাতিসংঘকে অবশ্যই গাজায় কাজ করার অনুমতি দিতে হবে।

ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ইরানেরইসরাইলের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ইরানের
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতিতে যত বিলম্ব হবে মৃত্যুর সংখ্যাও তত বাড়বে।’

তিনি জানান, ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিতর্কিত ত্রাণ শিবিরে সাহায্য আনতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৮৭০ জনের বেশি অনাহারী ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইউএনআরডব্লিউএ-এর যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক জুলিয়েট তুমা জর্ডানের আম্মান থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন যে,‘ওষুধ, পুষ্টি সরবরাহ, স্বাস্থ্য উপকরণ, জ্বালানি সবকিছু দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন,‘আমাদের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিনিধিরা নিশ্চিত করেছেন যে গাজায় অপুষ্টির হার বাড়ছে। বিশেষ করে গত ২ মার্চ অবরোধ কঠোর করার পর থেকে।’

গাজা পরিস্থিতির উন্নয়নে দিকে বিশ্ব মনযোগ না দেয়ায় সমালোচনা করেন তিনি।

ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে তাদের ক্লিনিকগুলোতে পাঁচ বছরের কম বয়সী ২ লাখ ৪০ হাজারের বেশি ছেলে-মেয়েকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সংস্থাটি বলছে,যুদ্ধের আগে গাজায় তীব্র অপুষ্টি বিরল ছিল।

১৬ জুলাই ২০২৫
এজি