অপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য ফেলায় বাবুরহাটের কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের পাশের একমাত্র খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ইতোমধ্যে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে বাবুরহাট স্কুলের রাস্তার অপরপাড়ে খালটিতে স্থায়ী বাঁধ তৈরি হয়েছে।
মূলত বাজারের সমস্ত ময়লা আবর্জনা ও স্থানীয়দের বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলা হচ্ছে নিয়মিত। এতে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে খালটি। ময়লার স্তূপ এমন আকার ধারণ করেছে যে, সেখানে এখন আর পানি প্রবাহ দূরের কথা যেন নালায় পরিণত হয়েছে।
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। যদিও বেশ কয়েকজন জানালেন, পৌরসভা থেকে ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় বাধ্য হয়ে সবাই এখানে খালি জায়গায় ময়লা ফেলছেন।
এছাড়াও বাবুরহাট বাজারের পূর্বদিকে অবস্থিত কলার আড়তের সমস্ত ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে এ খালে। এ সমস্ত ময়লা আবর্জনার কারণেও খালটি এখন ভরাট প্রায়। দ্রুত খালটি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এটি বিলীন হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, আগে এই খালটি দিয়ে বড় বড় নৌকা চলাচল করতো এখন তো ডিঙি নৌকাও চলা সম্ভব না। তাছাড়া এলাকার মানুষ ময়লা ফেলার কোনো নির্দিষ্ট স্থান না পেয়ে এই জায়গাটিতে দীর্ঘদিন ময়লা ফেলার কারণে খালটি আজ মৃতপ্রায়। এছাড়াও আরও বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেন তারা।
তারা জানান, বিসিকের সকল ময়লা, প্লাস্টিক ও আবর্জনা এই খালেই ফেলা হচ্ছে। এতে করে যেমন খালের পানি দূষিত হচ্ছে তেমনি খালটির স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন বলেন, এই খালটির মা-বাবা আছে কি না- সেটা নিয়েই আমার সন্দেহ রয়েছে। অতীতে বড় বড় নৌকাযোগে আমরা এই খাল দিয়ে আসা-যাওয়া করেছি। কিন্তু বর্তমানে খালটি মৃতপ্রায়। স্বাভাবিকভাবে এটা হওয়ার কথা না।
শুধু যে ময়লা ফেলা হচ্ছে তা নয়, খালের উপরে ব্রিজ তৈরি করে খালের দুই পাশকে সংকুচিত করা হয়েছে। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। খাল রক্ষায় আমি জেলা প্রশাসক, সড়ক বিভাগ, পরিবেশ অধিদফতর ও এলজিইডিসহ সকলের সম্মিলিত সুদৃষ্টি কামনা করছি।
করেসপন্ডেট,২২ অক্টোবর ২০২০