জাপানে দুর্গম জঙ্গল থেকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭ বছর বয়সী শিশু ইয়ামাতো তানুকা আজ হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছে।
ওই শিশুটিকে শাস্তি দিতে তার বাবা ও মা দুজনে মিলে তাকে উত্তর হোক্কাইডোর প্রত্যন্ত জঙ্গল এলাকায় ছেড়ে এসেছিল। কিন্তু পরে যখন তারা সেখানে যান শিশু ইয়ামাতোকে আর খুঁজে পাননি।
ওই এলাকায় সেনা ছাউনিতে ছয়দিন পর অক্ষত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায় শিশু ইয়ামাতো তানুকাকে।
এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। শিশুটি উদ্ধারের পর দেখা যায় সে পানিশূন্যতায় ভুগছিল ও ক্ষুধার্তও ছিল। হাতে-পায়ে ছোট ছোট আঁচর থাকলেও আর কোনও সমস্যা হয়নি শিশু ইয়ামাতোর।
জাপানের টিবিএস নেটওয়ার্ককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামাতো তানুকার বাবা তাকায়ুকি তানুকা বলেছেন, “আমি আমার ছেলেকে বললাম, বাবা তোমাকে একটা কঠিন সময়ে সেখানে ফেলে এসেছিল। আমি দুঃখিত”।
“এরপর আমার ছেলে আমাকে বলল, তুমি একজন ভালো বাবা। আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি”।
বেড়াতে গিয়ে গাড়ি ও মানুষকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারার জন্য ওই শাস্তি দিয়েছিল ইয়ামাতো তানুকার বাবা-মা।
পরে অবশ্য তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন “আমরা বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম”।
দ্য মাইনিচি নামের স্থানীয় একটি পত্রিকা জানাচ্ছে যে শিশুটি বলেছে সে কাঁদতে কাঁদতে রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিল এবং প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর ওই ভবনটি পায় সে যেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
ছয়দিন ওই ভবনের একটি রুমের দুটো গদির ওপর ঘুমিয়েছে ইয়ামাতো এবং পানি ছাড়া আর কিছুই খায়নি সে।(বিবিসি)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৪:৩৫ পিএম, ০৭ জুন ২০১৬, মঙ্গলবার
এইউ