বুড়ো আঙুলের সঙ্গে যোগ রয়েছে ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের। বুড়ো আঙুলে ম্যাসাজ ও বুড়ো আঙুল ধরে মৃদু টান হৃদস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাসের বেগ হ্রাস করে। যারা উদ্বেগে ভোগেন তাঁরা বুড়ো আঙুল ম্যাসাজের মাধ্যমে উপকার পাবেন
হাতের কাছেই রোগের ওষুধ। বুড়ো আঙুলে চাপ দিলে সারতে পারে হৃদরোগ।
কড়ে আঙুলে মৃদু চাপ সারিয়ে দিতে পারে মাথার ব্যথা। বহুল পরিচিত এই চিকিৎসা পদ্ধতির নাম অ্যাকুপ্রেসার।
শারীরিক সমস্যার সমাধানে অনেকেই ওষুধ খাওয়ার বদলে খোঁজেন চিকিৎসার বিকল্প পদ্ধতি।
সেরকমই একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির নাম রিফ্লেক্সোলজি বা অ্যাকুপ্রেসার।
এ পদ্ধতি অনুসারে শরীরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেসার পয়েন্টকে চিহ্নিত করা হয়। এক-একটি প্রেসার পয়েন্টের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
এ প্রেসার পয়েন্টগুলিকে স্পর্শ বা ম্যাসাজের মাধ্যমে ওই জড়িত অঙ্গগুলির রোগ সারিয়ে তোলা যায়।
অ্যাকুপ্রেসারের কৌশল
দুটি হাতের যেকোনও একটিকে নির্বাচন করুন। সেই হাতের আঙুলগুলো মেলে ধরুন। অন্য হাতের আঙুলগুলো এ হাতের এক একটি আঙুলের ওপর মুঠো করে চেপে ধরুন। খুব জোরে চেপে ধরবেন না ,মৃদু চাপ দেবেন। মিনিট খানেক ম্যাসাজ করুন প্রতিটি আঙুলে দিনে যতবার খুশি এই ম্যাসাজ করতে পারেন।
কোন আঙুলে কোন ম্যাসাজ
১. বুড়ো আঙুলের সঙ্গে যোগ রয়েছে ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের। বুড়ো আঙুলে ম্যাসাজ ও বুড়ো আঙুল ধরে মৃদু টান হৃদস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাসের বেগ হ্রাস করে। যাঁরা উদ্বেগে ভোগেন তাঁরা বুড়ো আঙুল ম্যাসাজের মাধ্যমে উপকার পাবেন।
২. তর্জনীর সঙ্গে যোগ রয়েছে অন্ত্র বা মলাশয়ের। যারা পেটের গোলমাল ও কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পাচ্ছেন তাঁরা তর্জনী ম্যাসাজ করলে উপকার পাবেন।
৩. মধ্যমা বা দ্বিতীয় আঙুল- যখনই ক্লান্তি বা ঘুম ঘুম ভাব কিম্বা বমি ভাবের কারণে অস্বস্তি বোধ করছেন তখনই মাঝের আঙুলটি ধরে আস্তে আস্তে সামনের দিকে টানতে থাকুন মিনিট খানেকের মধ্যেই উপকার পাবেন।
৪. অনামিকা বা চতুর্থ আঙুল- এই আঙুলের সঙ্গে যোগ রয়েছে আমাদের মন ও মেজাজের। যাঁরা অবসাদে ভোগেন বা মনখারাপের কারণে কষ্ট পান তারা যদি মিনিট খানেক অনামিকায় ম্যাসাজ করেন তাহলে উপকার পাবেন। মনে শান্তি ফিরে আসবে।
৫. কড়ে আঙুল- এই আঙুলের সঙ্গে ঘাড় ও মাথার যোগ রয়েছে। এই আঙুলে মিনিট খানেক ম্যাসাজ আপনাকে ঘাড় ও মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে।
তাই হাতের কাছেই আপনার সমস্ত রোগ সারানোর উপায় আছে। শুধু জানতে হবে কিছু ট্যাকটিক্স। তাহলেই রোগ গায়েব।
লেখক-হাসান এ.শুভ
এমবিএ,পিজিডি,এঅাইপি
হেড অফ এডমিন
(ঢাকা নিউ লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল)