সদ্য পদোন্নতি ও বদলির আদেশ পাওয়া চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (যুগ্ম-সচিব) মো. আব্দুস সবুর মন্ডল বলেছেন, অনেক দু:সাহস নিয়ে অন্ধকারে হেঁটেছি, তাই চাঁদপুরের মানুষ আলো দেখেছে। জেলার একজন ডেপুটি কমিশনারের (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনেক স্বাধীনতা থাকে কাজ করার। তাই সরকারি বিধি-বিধান মেনে ইনোভেটিভ (নতুন উদ্ভাবনী) আইডিয়া নিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করেছি।
বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, গণহত্যার দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে জেলা প্রস্তুতি সভার শেষ মুহূর্তে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুরের রূপকার এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘সরকার থেকে যে জ্ঞান পেয়েছি, আমার সে জ্ঞানের ব্যবহার এখনো শেষ হয় নি। যদি তা বাস্তবায়ন করেত পারতাম চাঁদপুরবাসী ভাগ্যবান হতো। যা ব্যবহার করেছি তা যদি সফল না হয় তাহলে এটি চাঁদাপুরবাসীর দুর্ভাগ্য। আমার অনেক কাজ এখনো ঝুলন্ত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশ প্রেম থাকলে মানুষের ইনোভেটিভ (নতুন উদ্ভাবনী) আইডিয়া থাকে। আর এ ইনোভেটিভ (আইডিয়া গুলো দেশের জন্য অনেক উপকার করে। দেশ সুন্দর ও উন্নত দেশের পরিণত হয়। আমার এমন একটি আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে চাঁদপুরকে বিশে^র মধ্য পরিচিত করতে চেয়েছি।
জেলা প্রশাসক বলেন, আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করিনি। এর বাইরেও অনেক কাজ করেছি। আপনারা পরবর্তী কোনো জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে এ আশা করবেন না। তবে ভিক্ষুকমুক্তকরণ প্রকল্প ও ১১ জন শিক্ষার্থী বৃত্তির টাকা ব্যাংকে জমা আছে। এগুলো পরবর্তী জেলা প্রশাসক বন্টন করবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) মো. মাঈনুল হাসান, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম, বিশিষ্ট চিকিসৎক ও নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাবেক সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার সম্পাদক সোহেল রুশদী, চাঁদপুর জেলা ক্যাবের সভাপতি জীবন কানাই চক্রবতী, জেলা স্কাউটের সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, জেলা কালচারাল অফিসার আবু ছালেহ মো. আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
প্রতিবেদক- আহম্মদ উল্যাহ