জিটুজিভিত্তিতে ও আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৬ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে জিটুজিভিত্তিতে ৩ লাখ টন চাল কেনা হবে।
আর আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ২ লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। অপরদিকে জিটুজিভিত্তিতে ৪ লাখ ৫০ হাজার টন গম কেনা হবে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার টন গম আমদানি করা হবে।
বুধবার (১২ জুলাই) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তরকে জিটুজিভিত্তিতে চাল ও গম কেনার এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চাল ও গম আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক রপ্তানিকারক দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৩ লাখ টন চাল কেনা এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ২ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানিকারক দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৪ লাখ ৫০ হাজার টন গম কেনা এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার টন গম আমদানির লক্ষ্যে দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন নির্ধারণ করার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাল ও গম আমদানির ক্ষেত্রে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে দরপতন দাখিল করতে হবে। আগে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের ৪২ দিনের মধ্যে দরপতন দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল।
সাঈদ মাহবুব খান জানান, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাবের পাশাপাশি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য চতুর্থ পর্যায়ে বরাদ্দ করা গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সেবা ক্রয়ে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা কর্তৃক দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় মালয়েশিয়ার পিরিন্টিস আকাল এসডিএন বিএইচডির কাছ থেকে এলএনজি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
১৩ জুলাই ২০২৩
এজি