১ শ’ বছরের চেষ্টায় প্রথম ম্যালেরিয়া টিকার অনুমোদন

প্রথমবারের মতো মশাবাহিত প্রাণঘাতী রোগ ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে টিকার অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বুধবার সেই টিকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রায় ১ শ বছরের বেশি সময় ধরে চেষ্টার পর ম্যালেরিয়ার একটি কার্যকর টিকা তৈরি চিকিৎসাশাস্ত্রের বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলছেন,কারণ বহু বছরের গবেষণা পরর একটি ম্যালেরিয়া টিকা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে এবং সেই টিকা অনুমোদনও পেয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে,ম্যালেরিয়ায় প্রতিবছর বিশ্বে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়; যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই আফ্রিকার শিশু। এক্ষেত্রে টিকাটি প্রতিবছর আফ্রিকায় লাখো শিশুর জীবন বাঁচাতে সক্ষম হবে বলে উল্লেখ করেছে ডাব্লিউএইচও।

যুক্তরাজ্যের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) ‘আরটিএস, এস’ নামের এ টিকা তৈরি করেছে। এটি কেবল ম্যলেরিয়া নয়, যেকোনো পরজীবীঘটিত রোগের বিরুদ্ধে মানুষের তৈরি করা প্রথম কার্যকর টিকা।

বিশ্ব সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস ঐতিহাসিক এ ঘটনায় দারুণ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, আমি ম্যালেরিয়া গবেষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলাম। আমি এ দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম যেদিন অতি পুরনো এবং ভয়ানক এ রোগের বিরুদ্ধে আমাদের একটি কার্যকর টিকা হবে। আজ ঐতিহাসিক দিন।

এখন থেকে আফ্রিকার সাব–সাহারা অঞ্চল এবং ম্যালেরিয়ার উচ্চ প্রাদুর্ভাব রয়েছে, বিশ্বের এমন সব অঞ্চলে শিশুদের টিকাটি প্রয়োগ করা যাবে। চার ডোজের এ টিকা দু’ বছর বয়স থেকেই দেওয়া যাবে।

বার্তা কক্ষ, ৭ অক্টোবর ২০২১
এজি

Share