চাঁদপুরে পবিত্র মাহে রমজানকে উপলক্ষ্য করে নোংরা আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে উৎপাদন করা হচ্ছে ভেজাল মাঠা। যার কোনোরুপ বিএসটিআই অনুমোদন নেই। নেই পণ্যের ল্যাভেল।
রোজাদার ব্যক্তিদের ক্লান্তি আর চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে এসব মাঠা বাজারজাত করা হচ্ছে। যা শুধুমাত্র চাঁদপুরেই নয়,জেলার পাশ্ববর্তি জেলাতেও বিক্রি করা হচ্ছে। আর রমজানে ভালোই বিক্রি বাড়ছে এসব নোংরা অস্বাস্থ্যকর মাঠা। অস্বাস্থ্যকর কারখানাগুলো বন্ধে প্রশাসনের এ বছর নেই তেমন কোনো নজরদারি।
নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বস্তির মধ্যেই অস্বাস্থ্যকর এবং দূর্গন্ধ যুক্ত নোংরা পরিবেশে বানানো হচ্ছে এসব মাঠা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,শহরের পুরাণবাজার ঘোষপাড়া ও মৈশালবাড়ি এলাকায় এ ভেজাল মাঠার উৎপাদন বেশী হয়। এছাড়া সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়ন দোকানঘরসহ অন্তত অর্ধশতাধিক বিএসটিআই এর অনুমোদন বিহীন বাসা-বাড়িতে কারখানা গড়ে তুলে ভেজাল মাঠা তৈরি করে। পরে ভেজাল মাঠা বিভিন্ন দোকান, পাড়া-মহল্লা ও রাস্তার মোড়ে বিক্রি করা হয়। মাঠার নেই কোন উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ। অস্বাস্থকর পরিবেশে নষ্ট দুধ, চিনি, লবনসহ আরোও নানা উপাদান মিশিয়ে বানানো হচ্ছে এ মাঠা।
এ ব্যবসার সাথে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে থাকে। এর আগে অবৈধভাবে বিএসটিআইএর সিল ও অনুমোদন না থাকায় অজয় মাঠা, বৃস্টি পিউর মাঠা, শ্যামল মাঠাসহ কয়েকটি কারখানাকে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করে। এই কারখানাগুলোতে নামি কোম্পানি পণ্যের স্টিকার পরিবর্তন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানাযায়।
শহরের কালিবাড়ি, মিশনরোড এলাকায় মাঠা বিক্রেতা অমল ঘোষ, বিমলসহ কয়েকজন জানায়, ১লিটার ৭০টাকা, ৫০০ মিঃলিঃ ৪০ টাকা ও ২৫০ মিঃলিঃ ২৫ টাকা বিক্রয় করা হয়।
মেয়াদের কথা জানতে চাইলে তারা জানায়, বাপ-দাদার সময় থেকে আমাদের এই ব্যবসা। আমরা ২ থেকে ৩ মন দুধ দিয়ে মাঠা তৈরি করি। আর এইগুলো বিক্রয় করেই আমাদের সংসার চলে।
জেলা মার্কেটিং অফিসার এন এম রেজাউল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানান,মাঠা মূলত কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। আমাদের কাছে ৪টি লাইসেন্সেরর অনুমোদন ছিল। যার মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাঠা তৈরির কারণে শ্রী কৃষ্ণ নামের একজনের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আর ল্যাবেল ছাড়া মাঠা বিক্রয়ের কোন সুযোগ নেই। এমন কোন অভিযোগ পেলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,২৪ এপ্রিল ২০২১