চাঁদপুর

অধ্যক্ষ ফেন্সী হত্যা : কারাগার থেকে অ্যাড. জহিরকে হাসপাতালে প্রেরণ

চাঁদপুর শহরের ষোলঘর এলাকার কলেজ অধ্যক্ষ শাহিনা সুলতানা ফেন্সি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামকে চিকিৎসাসেবার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ জুন) সোমবার বেলা ১১ টায় চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

এসময় তার স্বাস্থ্যসেবার জন্য হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এমও) ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল ও ডাঃ আসিবুল আহসান চৌধুরী তাকে চিকিৎসাসেবা দেন।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এমও) ডাঃ আসিবুল আহসান চৌধুরী জানান, তার রিমান্ডের পূর্বে মেডিকেল চেকআপ করার জন্য গতকাল জেলা কারাগারে গেলে তার রক্তচাপ বাড়তি দেখতে পাই। সেজন্য আজ তার স্বাস্থ্যসেবার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। আজ রক্তচাপ পরিমাপ করেছি। এখন স্বাভাবিক আছে। তারপর আমরা অন্যন্য পরীক্ষা দিয়েছি। পরীক্ষা শেষে বুঝা যাবে তার বড় ধরনের কোন সমস্যা আছে কিনা।

চাঁদপুর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (সিপিআই) মো. হারুনুর রশিদ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘তিনি অসুস্থবোধ করার কারনে তার চিকিৎসাসেবার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।’

চিকিৎসাসেবা শেষে অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামকে পুনরায় চাঁদপুর জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও মহিলা আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহিন সুলতানা ফেন্সি নৃশংস খুনের ঘটনার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন ওই কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১১ জুন) দুপুরে কলেজের সামনে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের উপর ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, সহকারি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মিজানুর রহমান বেপারী, প্রভাষক ওমর ফারুক, শরীফ হোসেন পাটওয়ারী প্রমূখ। বক্তারা নিহত কলেজ অধ্যেক্ষ খুনের চলমান তদন্ত যাতে কোন ভাবে প্রভাবিত না হয় এবং প্রকৃত খুনি ও তার সহযোগিতারা যাতে বিচারের আওতায় আসেন এ বিষয়ে পুলিশ ও বিচার বিভাগের প্রতি দাবী জানান।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন দিনগত রাত ১০টার দিকে ষোলঘর নিজ বাসভবনে মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে খুন হন ফেন্সি। ওইদিন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্বামী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলামকে আটক করেন। এরপর রাতেই শহরের নাজিরপাড়া থেকে দ্বিতীয় আসামি জুলেখা বেগমকে আটক করে চাঁদপুরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরের দিন মঙ্গলবার বিকেলে (৫ জুন) নিহতের ছোট ভাই ফোরকান উদ্দিন বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় অ্যাড. জরিুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি

Share