ফরিদগঞ্জ

ফরিদগঞ্জে বাবুল বেগ গংদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ একটি পরিবার

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন আব্দুল গনি প্রকাশ বাবুল বেগ ও তার পরিবারের কতেক সদস্যদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ একটি পরিবার।

থানায় অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই বাড়ির মৃত হাফেজ আব্দুল লতিফের ছেলে আবুল কালাম কালাম বেগের পরিবারের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শত্রুতা পোষণ করে আসছে এবং কালাম বেগের পরিবারকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। কারণ ছাড়াই সময় অসময়ে গালমন্দ ছাড়াও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসে এবং ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। বাবুল বেগের অত্যাচারে শুধু কালাম বেগ নয় এলাকাবাসীও অতিষ্ঠ।

এদিকে গত ২৩ এপ্রিল বাবুল বেগ, তার ভাই আল মামুন (৩৫), ওসমান গনী (৪২), বাবা আব্দুল কাদের (৭০), খাজুরিয়া এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে খলিলুর রহমান ছাড়াও অজ্ঞাত কতেক লোকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কালাম বেগের বসত ঘরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে এবং মহিলাদের টানা হেঁচড়া করে স্বর্নলংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয়রা আরো জানায়, বাবুল বেগ ও তার পরিবারের সদস্যরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় বেড়া কৃষকদের মাঠের ধান ঘরে তুলতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ছাড়াও কারনে অকারণে মানুষকে হুমকি, মামলার ভয় ও হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।

অন্য একটি আদালতের মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, কালাম বেগের ব্যক্তিগত জায়গা বাবুল বেগের লপ্ত মত হওয়ায় বিভিন্ন সময় বিক্রির প্রস্তাব দিয়ে আসছিল, কিন্তু কালাম বেগ তা বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং জোর পূর্বক কালাম বেগকে জমি থেকে বেদখলের চেষ্টা করে। তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে গত ২০ আগষ্ট ২০২০ সালে কালাম বেগসহ পরিবারের সদস্যদের ঘরে আটকে রেখে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ১’শ টাকার ৩ ফর্দ নন জুডিশিয়াল ৩শ’ টাকার সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়।

স্থানীয় শালিশদের জানানোর পর বৈঠক করেও তা উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় আদালতের স্বরনাপন্ন হয়৷ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গত ১ এপ্রিল ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) মো. জামাল উদ্দিন বাবুল বেগের কাছ থেকে উক্ত স্টাম্প উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে কালাম বেগ জানায়, বাবুল বেগ ও পারিবারের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। আমার ব্যক্তিগত জায়গা বাবুল বেগের লপ্ত মত হওয়ায় বিভিন্ন সময় বিক্রির জন্য প্রস্তাব দিত, কিন্তু তা বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং জোর পূর্বক আমাকে জমি থেকে বেদখলের চেষ্টা করে। তাতেও ক্ষান্ত না হয়ে গত ২০ আগষ্ট ২০২০ সালে আমাকেসহ পরিবারের সদস্যদের ঘরে আটকে রেখে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ১’শ টাকার ৩ ফর্দ নন জুডিশিয়াল ৩’শ টাকার সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়। স্থানীয় শালিশদের জানানোর পর বৈঠক করেও তা উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় আদালতের স্বরনাপন্ন হই৷

তিনি আরো বলেন,২৩ মার্চ বাবুল বেগ ও তার পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও খাজুরিয়া এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে খলিলুর রহমান এবং অজ্ঞাত কতেক লোকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বসত ঘরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে এবং মহিলাদের টানা হেঁচড়া করে স্বর্নলংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহত অবস্থায় আমরা হাসপাতালে ভর্তি এবং থানায় অভিযোগ করি।

এ বিষয়ে বাবুল বেগ জানায়, আমি কালাম বেগের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছি, স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তার বায়না স্টাম্প করেছি, আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছি এবং পরবর্তী অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিক্তিহীন।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এস আই জামাল উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বাবুল বেগের কাছ স্টাম্পটি উদ্ধার করছি এবং পরবর্তী অভিযোগের ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আদালতের অনুমতি চাইবো, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,২ এপ্রিল ২০২১

Share