Home / চাঁদপুর / ‘অতীতের সকল মেলার চেয়ে এবারের মেলা হবে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত’
‘অতীতের সকল মেলার চেয়ে এবারের মেলা হবে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত’

‘অতীতের সকল মেলার চেয়ে এবারের মেলা হবে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত’

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা সাংস্কৃতিক, নাট্য উপ-পরিষদের মতবিনিময়

চাঁদপুরে মাসব্যাপী মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা-২০১৫ উদযাপন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক ও নাট্য উপ-পরিষদের মতবিনিময় সভা বুধবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেলা উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাড. জহিরুল ইসলাম।

সাংস্কৃতিক উপ-পরিষদের আহ্বায়ক তপন সরকারের সভাপতিত্বে ও নাট্য উপ-পরিষদের আহ্বায়ক শরীফ চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মেলা উদযাপন কমিটির মহাসচিব শহীদ পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ হাফিজ খান, স্মৃতিচারণ উপ-পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন পাঠান, সদস্য সচিব ইয়াকুব আলী মাস্টার, সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরণ, মাঠ ও মঞ্চ আহ্বায়ক হারুন আল রশীদ, র‌্যাফেল ড্র-উপ কমিটির আহ্বায়ক বিএম হান্নান, সংঙ্গীত নিকেতনের অধ্যক্ষ স্বপন সাহা, উদয়ন সংঙ্গীত বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ গৌরাঙ্গ সাহা, খেলাঘর আসর চাঁদপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্যামসুন্দর মন্ডল, নাট্য উপ-পরিষদের সদস্য সচিব খায়রুল ইসলাম শামীম, মিডিয়া উপ-পরিষদের আহ্বায়ক আল-ইমরান শোভন, প্রজন্ম একাত্তর পরিষদের সদস্য সচিব ফেরদৌস মোরশেদ, বর্ণচোরা নাট্য গোষ্ঠীর সহ-সভাপতি ইয়াহিয়া কিরণ, নাট্য উপ-পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক গোবিন্দ মন্ডল, অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মৃণাল সরকার, চাঁদপুর ড্রামার সাধারণ সম্পাদক মানিক পোদ্দার প্রমুখ।

এছাড়াও আমান্ত্রিত বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাক ও প্রতিনিধিরা বিভিন্ন প্রস্তাবনা রেখে বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাড. জহিরুল ইসলাম বলেন, নিঃসন্দেহে চাঁদপুরের বিজয় মেলা বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং সুশৃংঙ্খল একটি মেলা। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে, এই মেলার সর্বপ্রথম প্রস্তাবনা রাখেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম। তাই মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা সংগঠনগুলোর কর্মকর্তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ যে, আপনারা মঞ্চে এমন কিছু পরিবেশন করবেন না, যা আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। যে কোনো কাজে স্বচ্ছতা থাকা ভালো। তাই, এবারের মেলায় সকল উপ-কমিটিকে রসিদের মাধ্যমে তাদের যে কোনো কাজে খরচ করতে হবে।

তিনি বলেন, এবারের বিজয় মেলা হবে দু’যুগপূর্তি উৎসব। তাই এবারের মেলা নিয়ে আমাদের ভিন্ন কিছু চিন্তাভাবনা রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস আয়োজন আর সাজসজ্জ্বায় অতীতের সকল মেলার চেয়ে এবারের মেলা হবে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

সভায় সভায় উপস্থিত ছিলেন নতুন কুঁড়ি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি অ্যাড. আবুল কালাম সরকার, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি পীযুষ কান্তি রায় চৌধুরী, স্মৃতি সংরক্ষণ উপ-পরিষদের আহ্বায়ক বাসুদেব মজুমদার, মেঘনা থিয়েটারের সভাপতি তবিবুর রহমান রিংকু, সংগীতশিল্পী তাহমিনা হারুন, মাঠ ও মঞ্চ উপ-পরিষদের সদস্য সচিব মানিক দাস, স্বরলিপি নাট্যদলের সভাপতি এমআর ইসলাম বাবু, মিডিয়া উপ-পরিষদের সদস্য সচিব কেএম মাসুদ, সমন্বয়কারী আশিক বিন রহিমসহ মেলা উদযাপন কমিটির কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকতাবৃন্দ।

আশিক বিন রহিম

 

|| আপডেট: ০৮:৩৭  পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার

এমআরআর