Friday, 24 April, 2015 07:30:09 PM
দেলোয়ার হোসাইন :
অতি পরিচিত পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থল মোহনা চাঁদপুরে অবস্থিত। এই তিনটি নদীর মধ্যে মেঘনা নদীর তীরে চাঁদপুর অবস্থিত হলেও জেলার কয়েকটি উপজেলার উপর দিয়ে এ নদীটি বয়ে গেছে। একসময় সেচ কাজের সুবিধার্থে এটিকে খাল হিসেবে খনন করলেও এটি এখন ছোট নদীতে পরিণত হয়েছে। ডাকাতিয়া নদীর দৈর্ঘ্য-২০৭ কিলোমিটার। বাংলাদেশের কুমিল্লা, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত এই নদী। চাঁদপুর থেকে এই ডাকাতিয়া নদী যোগ হয়েছে কুমিল্লার গোমতীর সঙ্গে।
তবে বর্তমানে জেলার বিভিন্ন অংশে গিয়ে নদীটি অনেকটা খালের মতো সরু হয়ে গেলেও ওই অংশ নদীর উপর বড় ধরনের কোন নদীযান চলাচল না করায় পরিবেশ কিছুটা বিঘœ হওয়া সত্ত্বেও তেমন সমস্যা হয় না।
বর্তমানে নদীটির শহর অংশে বিশেষ করে পুরাণবাজার ও বড়স্টেশন এলাকায় মেঘনার যে অংশ থেকে নদীটি শুরু হয়েছে সে অংশ থেকে ইচলী লঞ্চঘাট এলাকা পর্যন্ত নদীর দু’পাড়ে গড়ে উঠা কলকারখানা ও বিভিন্ন আড়ৎসমূহের বর্জ্যে নদীটি প্রতিনিয়ত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে নদীর সৌন্দর্য বিলীন হয়ে অনেকটা পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ডাকাতিয়া নদীর পুরাণবাজার ব্রীজের উপর দাঁড়ালে নদীর দু’পাড়ে তাকালে দেখা যায় শুধু বর্জ্য। তাই নদী এলাকা চাঁদপুরের প্রতিষ্ঠিত সৌন্দর্য এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। তাছাড়া নানা প্রজাতির মাছও এখন নদীটি থেকে বিলুপ্তির পথে।
এভাবে বাধাহীন বর্জ্য ফেলতে থাকলে একসময় নদীটির তলদেশ ভরাট হয়ে চাঁদপুরের বুক থেকে হারিয়ে যেতে পারে শত বছরের ঐতিহ্যের ডাকাতিয়া ও সুস্বাদু প্রজাতির হরেকরকম মাছ। এছাড়া এ নদী দিয়ে বড় ধরনের নৌযান ও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে পারে।
ডাকাতীয়া নদীর শাখা-প্রশাখা জেলার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় শুষ্ক মৌসুমে চাঁদপুর জেলার কৃষকদেরকে সেচের কাজে তেমন পানি সংকটে পড়তে হয় না এবং সেচ কাজে অতি ব্যয়বহুল ভূগর্ভস্থ পানির সহযোগিতাও গ্রহণ করা লাগে না।
তাই সচেতন মহলের দাবি নদীর মুখের অংশে এ ধরনের বর্জ্য ফেলা রোধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্টদের নজরদারী জরুরি।
https://youtu.be/ny2KP6j_maY
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/ডিএইচ/২০১৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur