চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪৭টি হাই স্কুল ও ৫৪ টি মাদ্রাসায় পাইকারী হারে রেজিস্ট্রেশনের নামে মাত্রাতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসের নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন ছাড়া কিছুই করার নেই। কার্যক্ষেত্রে এমনই পরিলক্ষিত হচ্ছে।
গাজীপুর মুসলিম হাই স্কুলে ৬শ’ টাকা, কেরোয়া আর্দশ বালিকা বিদ্যালয়ে সাড়ে ৩শ’ টাকা , ফরিদগঞ্জ একাডেমিতে ২৫০ টাকা , লতিফগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসায় ২৫০ টাকা, বালিথুবা হাই স্কুলে ৩শ’ টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি ১৫০ টাকার কম বলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিস জানায়।
অভিভাবক ও ইউপি মেম্বার জসিমউদ্দিন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, গাজীপুর স্কুল ১৩৫ শিক্ষার্থীর নিকট ৬ শ’ টাকা হারে ফি আদায় করে।
অভিভাবকরা জানান, আমরা এ সকল বিষয়ে প্রতিবাদ করে কখনও ফল পাইনি। উল্টো আমাদের সন্তানদের প্রতি প্রধানশিক্ষকদের খড়গ দৃষ্টি নেমে আসে।
অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয়ে স্কুল প্রধানশিক্ষকদের নিকট জানতে চাইলে তাদের অজুহাতের অন্ত থাকেনা। তারা বলছেন , অন লাইন খরচ, ছবি ও পূর্বের বকেয়া বেতন ইত্যাদি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বোর্ড নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত নেয়া উচিত নয়। আর যদি নিতে হয় তাহলে শিক্ষার্থী পিছু ২০-৩০ টাকা নেয়া যেতে পারে।’
গাজীপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আ. লতিফ বিএসসির নিকট এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিকবার ফোন করলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অতিরিক্ত ফি নেয়া অপরাপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা অতিরিক্ত ফি নেইনি বলে জানান এ প্রতনিধিকে।
অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, বোর্ড নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত ফি নেয়ার কোনো বিধান নেই। যদি কেউ অতিরিক্ত ফি নিয়ে থাকে সে বিষয়ে লিখিত অভিযোগ ফেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদক- আতাউর রহামন সোহাগ
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৯ : ৪৮ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৭, বুধবার
এজি/এইউ