কুমিল্লার লাকসামে তিনটি চোরাই অটোরিকশাসহ অজ্ঞান পার্টির সাত সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে লাকসাম থানায় কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ((ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) খন্দকার আশফাকুজ্জামান প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, লাকসাম পৌরসভার বাতাখালী গ্রামের অটোরিকশা চালক মো. দুলাল মিয়া গত ১৬ মে সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রামে যাত্রী নামিয়ে লাকসাম ফিরছিলেন। পথে নাঙ্গলকোট থেকে অজ্ঞান পার্টির চার সদস্য যাত্রীবেশে ১২০ টাকায় তার রিকশা ভাড়া করেন। আমদুয়ার নামক স্থানে গাড়ি থামিয়ে তারা চা-বিস্কুট খান। এ সময় তাদের একজন রিকশাচালকে চা-বিস্কুট খাওয়ান। তারা পুনরায় যাত্রা শুরু করলে লাকসাম বাইপাস এলাকায় চালক অবচেতন হয়ে পড়েন। পরে এ চক্রের এক সদস্য গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চালকের পকেটে থাকা নগদ সাড়ে চার হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেন। এরপর দুলাল মিয়াকে খুন্তা স্টিল ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে অটোরিকশাটি নিয়ে যান ঐ চক্রের সদস্যরা।
খবর পেয়ে লাকসাম থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উপজেলার বিজরা এলাকা থেকে আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টির দলনেতা মো. শাজাহানকে আটক করে।
আটক শাজাহান চাঁদপুরের কচুয়া থানার রহিমানগরের পনসাহী জাকির হোসেনের ছেলে। তার নেতৃত্বে আট থেকে ১০ জনের একটি দল কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় খাবারের সঙ্গে ক্ষতিকর ওষুধ দিয়ে অচেতন করে মিশুক, অটোরিকশা চালকদের সর্বস্ব লুটে নেয়।
পরে আটককৃত শাজাহানের দেওয়া তথ্যমতে, রোববার রাতে চান্দিনার মাধাইয়া ও মুরাদনগরের নলুয়া চৌমুহনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ সময় অজ্ঞান পার্টির সদস্য চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা রহিমানগরের মিজানুর রহমান ও মাধাইয়ার নুর ইসলাম, কুমিল্লার টমসম ব্রিজ এলাকার মো. মিজান, মুরাদনগরের নহল এলাকার মো. হানিফ, বড়ইয়াকুড়ির শিপন মিয়া এবং চান্দিনার নাওতলা এলাকার সুমন আহমেদকে আটক করা হয়।
কুমিল্লা প্রতিনিধি, ২৩ মে ২০২৩