মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষা চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরাঞ্চল ঝুঁকিপূর্ণ ২ ইউনিয়নে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে মেঘনা নদী উত্তাল রয়েছে এবং পানি ফুলে উঠছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে ওইসব এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে।
মুঠোফোনে হাইমচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সরকার, নীলকমলের সালাউদ্দিন সরদার মুঠোফোনে চাঁদপুর টাইমসকে জানান। ইউনিয়নের সকল স্কুলগুলির দরজা খুলে দেয়া হয়েছে, মাইকে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে, এলাকার মেম্বারদেরকে সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। গ্রামপুলিশদের নেতেৃত্বে প্রতি ওয়ার্ডে ১০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করা হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দাদেরকে সামার্থ অনুযায়ী শুকনো খাবার নিয়ে স্কুলগুলিতে আশ্রয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া শুক্রবার বিকেলে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চাঁদপুরের চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদেরকে শুকনো খাবার ও অতি প্রয়োজনীয় মালামাল সাময়িকের জন্য বিক্রি না করার জন্য বলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউট ও হাসপাতালের লোকজনকে দুর্ঘটনা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার আহবান জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে চাদপুর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক আজহারুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে জানিয়েছেন, শুক্রবার সারাদিন চাঁদপুরের আবহাওয়া অনেকটা খারাপ থাকায় ধারণা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রোহানুর প্রভাব চাদপুরেও পড়তে পারে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস দেশের উপকুলীয় জেলাগুলিতে যেহেতু ৭ নম্বর সংকেত দিয়েছে। সে হিসেবে চাঁদপুরেও ৭ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে ।
আবদুল গনি
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:২৫ পিএম, ২০ মে ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ
চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur