চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শাশিয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শাহী বাজার পর্যন্ত প্রায় দু’ কি.মি. কাঁচা সড়ক দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে আছে। বৃষ্টি হলেই সড়কটি হাঁটুসমান কাদায় ঢেকে যায়, হয়ে ওঠে একেবারে চলাচল অযোগ্য। শুষ্ক মৌসুমে কোনোভাবে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষায় পায়ে হেঁটেও চলা দুষ্কর হয়ে পড়ে।
এ সড়কটি দক্ষিণ শাশিয়ালী, পশ্চিম জয়শ্রীসহ আশপাশের গ্রামের মানুষের একমাত্র যাতায়াত পথ। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগীসহ সাধারণ মানুষ প্রতিদিন চলাচল করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহু বছরেও সড়কটি পাকাকরণ হয়নি। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় প্রতিনিয়তই জনদুর্ভোগ বাড়ছে।
সড়কটির বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এটি জায়গায় জায়গায় ভেঙে গেছে, কোথাও গর্ত, কোথাও কাদা-পানি জমে আছে। যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হাঁটাও কষ্টকর।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা চলার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। শত শত মানুষ কাদায় পায়ে হেঁটে যেতে বাধ্য হয়। অথচ কোনো কর্তৃপক্ষের ন্যূনতম উদ্যোগও নেই।’
গ্রামের বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘বাজারে যেতে কষ্ট হয়। কৃষিপণ্য সময়মতো বিক্রি করতে পারি না। সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে হয় জুতা হাতে নিয়ে।’
একজন সিএনজি চালক কাজল জানান, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের হাসপাতালে নেওয়া চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, ‘বর্ষায় ভ্যান, মোটরসাইকেল এমনকি অ্যাম্বুলেন্সও এ সড়কে চলতে চায় না। রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে নাভিশ্বাস ওঠে।’
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ে যেতে গিয়ে প্রতিদিনই কষ্ট পেতে হয়। মন খারাপ নিয়ে ক্লাস করতে হয়।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উত্তম চন্দ্র বলেন, ‘সড়কটি পাকা হলে শিক্ষার্থীসহ পুরো এলাকাবাসী উপকৃত হবেন।’
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবরার আহাম্মেদ বলেন, ‘সড়কটি প্রকল্প আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে দরপত্র আহ্বান করা হবে।’
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৫ জুলাই ২০২৫