অবশেষে নতুন ঘর পাওয়ার আশ্বাস পেলেন ৪০ বছর ধরে অন্যের ঘানি টানা সেই জমিলা ও মুরশিদা। শনিবার (৫ জুন) সকালে শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদে সাংসদ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের ঐচ্ছিক তহবিল হতে আর্থিক সহায়তা পান জমিলা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন। ওই সময় তাদেরকে নতুন ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
২৫ মে চঁদপুর টাইমসে ৪০ বছর ধরে অন্যের ঘানি টানছেন জমিলা-মুরশিদা শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ হয়।
আর সেই খবর (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) সাংসদ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের নজরে আসে। তখন তিনি উপজেলা পর্যায়ে অসহায় নারী ও পুরুষের একটি তালিকা তৈরি করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশনা প্রদান করেন।
সেই আলোকে ৫ জুন শনিবার সকালে শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদে জামিলা খাতুন ও মুরশিদা খাতুনসহ ৩২ জনকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এ সময় জামিলা খাতুন ও মুরশিদা খাতুনকে নতুর ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন সাংসদ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।
জমিলা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের পানচাইল গ্রামের বাসিন্দা। জমিলার বাবার নাম মৃত ইউনুছ মিয়া। আর মুরশিদার বাবার নাম মৃত আবদুল মোনাফ। তারা সরকারি ভাতা পেলেও একটি ঘরের জন্য চেয়ারম্যান আর মেম্বারের দ্বারে দ্বারে বহু বছর ঘুরেও ঘর পাননি জামিলা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন। বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অন্যের সংসারে কাজ করে কষ্টে দিন পার করছেন এই দুই ভূমিহীন।
শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার বলেন, সকালে উপজেলায় জমিলা-মুরশিদাসহ মোট ৩২ জনকে (নারী ও পুরুষ) এক লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার টাকা করে ২৫ জন এবং ৭ হাজার করে ৭ জনকে আর্থিক সহায়তা করা হয়। সংসদ সদস্যের কাছে আবেদন কারীরা কেবল এ সহায়তা পেয়েছে। এছাড়া আমরা একইদিন সরকারি ৩৩৩ কল দিয়েছে, এমন ৪০ নারী ও পুরুষকে খাদ্য সহায়তা করেছি।
প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম,৫ জুন ২০২১