সংবাদ শিরোনাম
Home / বিশেষ সংবাদ / শিক্ষক আন্দোলনে শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবিরের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে
alomgir-kabir-patari

শিক্ষক আন্দোলনে শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবিরের অবদান চির অম্লান হয়ে থাকবে

চাঁদপুরের বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ে অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবির পাটওয়ারীর অবদান অতুলনীয় এবং চির অম্লান হয়ে থাকবে। কখনো আবেগজড়িত, কখনো বা জ্বালাময়ী বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে দাবি আদায়ে রাজপথের আন্দোলনে নিয়ে আসার মত দক্ষতা ও কৃতিত্ব অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবিরের ছিল। তিনি কেবলমাত্র বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি চাঁদপুর জেলার ৪৭ টি কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠনের সভাপতি ছিলেন না। তিনি চাঁদপুর জেলার সকল বেসরকারি স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ের শীর্ষ শিক্ষক নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর আবেগময় বক্তৃতায় জেলার কলেজ শিক্ষক-শিক্ষাকাগণ অনুপ্রেরণা ও উদ্দীপনা পেত। শুধু তাই নয়-প্রতিটি আন্দোলনে তিনি ছিলেন জাতীয় পরামর্শক বা নীতিনির্ধারক।

চলমান ইস্যুতে তাঁর বক্তৃতা ছিল প্রাঞ্জল,আবেগময় ও নির্দেশনামূলক। মাঠ কাঁপানো বক্তৃতায় তিনি চাঁদপুরের শিক্ষক আন্দোলনকে গতিশীল করে তুলতেন। প্রতিটি উপজেলা কমিটির টপ-টু-বটম নেতৃবৃন্দকে তাঁর সভাপতিত্বের সভাগুলোতে সমান কথা বলার ফ্লোর পেতেন। তিনি চাঁদপুর জেলার প্রতিটি উপজেলা সদরে, বিভাগীয় পর্যায়ে কুমিল্লা,নোয়াখালী, চট্রগ্রাম ,ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলা সদরে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ের জন্যে সাংগঠনিক সভাকরে সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ করতে সামর্থ হন। নেতৃতের¡ সকল গুণাবলী চাঁদপুর জেলার এ বাকশিস সভাপতি অধ্যক্ষ ড. আলমগীর কবির পাটওয়ারীর ছিল। যার ফলে ১৯৯৪- ২০১৯ সাল পর্যন্ত চাঁদপুরের কলেজ শিক্ষক সংগঠনটির তাঁর ঐক্যবদ্ধে নেতৃত্বাধীন ছিল।

শিক্ষকদের অধিকার ও মর্যাদা সম্পর্কিত সাফল্যকে সমুন্নত রাখাসহ আরো সম্প্রসারিত করার প্রয়োজন অপরিহার্যভেবে তিনি দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি দু’টি শব্দ শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবধানে ‘ বেসরকারি স্কুল ও কলেজ শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার’ বলে যুক্তিযুক্ত কারণ ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে অর্নগল বক্তৃতা দিতে পারতেন। একই যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি,একই বিভাগে একই সিলেবাসে ও পাঠ্যপুস্তকের পাঠ্যক্রমে পাঠদান, একই নিয়ম কানুনে একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং একই সমাজে বসবাস করেও বেসরকারি শিক্ষকদের জীবন নানাভাবে পিছিয়ে রয়েছে – মর্মে চাঁদপুরের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে সভা-সমিতিতে নানাভাবে বক্তৃতায় উপষ্থাপন করতেন। এ বিষয়গুলোর ওপর তিনি তাঁর বক্তৃতায় প্রাঞ্জলভাষায় উপস্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষকদেরকে আরো দায়িত্ববান হতে পরামর্শ দিতেন। সংগঠন চালাতে আর্থিক বিষয়টি মিটাতে কখনো কোনো কার্পণ্যতাবোধ করতে না।

সারাদেশের আন্দোলনের ন্যায় চাঁদপুে জেলাও শতভাগ বেতন ভাতা,স্বয়ংক্রিয় জাতীয় বেতন স্কেলের অন্র্ভূক্ত,আংশিক হলেও উৎসবভাতা,বৈশাখি ভাতা,বাড়িভাড়া বৃদ্ধি,অনুদান শব্দের পারবর্তে বেতনভাতা,স্ব-স্ব হিসেবে বেতন,বেসরকারি অডিটের নামে হয়রানি বন্ধ, শতভাগ বেতন ভাতা, স্বয়ংক্রিয় জাতীয় স্কেলভূক্তি, কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন ও অবসর সুবিধা প্রাপ্তি, ইনডেস্ক নাম্বার,অনলাইনে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা প্রাপ্তি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্যে মাইলফলক। যা আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে।

এক সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরিজনিত অবসরের বিদায় হতো -একখানা ছাতা, একটি পাঞ্জাবী,একটি নামাজের মোছলা ও একটি তসবি দিয়ে। কোনো কোনো স্কুল বিদায় অনুষ্ঠানই করতো না-প্রতিষ্ঠান প্রধানের হীনমনতার কারণে। আর বর্তমানে বিদায় শেষে একজন কর্মচারী কমহলেও ৮-৯ লাখ টাকা,শিক্ষক পাচ্ছেন ১০-১৫ লাখ টাকা,আর প্রতিষ্ঠান প্রধান পাচেছন ২০-৩০ লাখ টাকা ।

এটাও আন্দোলনের ফসল । ২০১৫ সালের জাতীয় স্কেল ভূক্তির আন্দোলনে চাঁদপুরের কলেজ শিক্ষক সংগঠনটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে । দেশের সকল শিক্ষক সংগঠনগুলো এক সংগ্রাম কমিটি গঠন করে শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্যদূর করতে সর্বশেষ ২০১৭ সালে শিক্ষক আন্দোলনকে বেগবান করতেও ঢাকার প্রেসক্লাবে চাঁদপুরের শিক্ষকদের নেতৃত্বে ছিল চাঁদপুর বাকশিস।
চাঁদপুরের অনেক বাকশিস শিক্ষক নেতৃবৃন্দ চাকরির সময়সীমা ও বয়সের অংকের হিসেব কষে বুঝতে পেরেছেন-সরকারিকরণসহ অনেক দাবি আদায়ের স্বাদ তাঁরা পাবেন না -তবুও তাঁরা আন্দোলন থেকে পিছ পা হন নি। এটা জানতেনও বুঝতেন এর সুফলভোগী তাঁরা হবেন না। শুধূ তাঁরাই পেলো না-আগামিতে পাবেন অনেকেই। হয়তোবা এদের অবদান কেউ কেউ নিজকে হামবড়া ভেবে বিকৃতভাবেও উপস্থাপন করতে পারবে কিন্তু ইতিহাসের পাতায় স্থান মিলবে না।

শিক্ষকদের প্রাপ্তিতে রয়েছে-পৌনে ৫ লাখ এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি ‘শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূর করা।’ শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ না হলে বৈষম্য থেকেই যাবে। দেশের সকল শিক্ষক সংগঠনগুলো এক হয়ে‘ শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্যদূর করুন’ সর্বশেষ শিক্ষক আন্দোলনকে বেগবান করতেও ঢাকার প্রেসক্লাবে চাঁদপুরের শিক্ষকদের নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবির পাটওয়ারী। তিনি জানতেন এর সুফলভোগী তিনি হবেন না। তবুও বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্তি আদায়ে তিনি যে ত্যাগ শিকার করেছেন তা চাঁদপুরের শিক্ষক সমাজের কাছে চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবে।

সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে চাঁদপুরের বেসরকারি স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ের কঠিন আন্দোলন-সংগ্রামে বাকশিসসহ কেন্দ্রিয় ৩৭ টি শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বদানকারী ‘ জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টে’র ব্যানারে শিক্ষকদের রুটি-রুজি ও আত্মমর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে সরাসরি যোগদান করেন অধ্যক্ষ ড.মো.আলমগীর কবির পাটওয়ারী। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়েই ১৯৮৪ সালে সর্বপ্রথম রহিমানগর কলেজের এমপিওভূক্তি শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতার এ মহান পেশায় প্রবেশ করেন। তখন তিনি উপজেলা বাকশিস সংগঠনে যোগ দেন। পরে তিনি ঔ কলেজ ছেড়ে তিনি ১৯৮৭ সালে হাজীগঞ্জের শিক্ষাবিস্তারে এলাকার সকল সমাজহিতৈষীদের সার্বিক সহায়তায় হাজীগঞ্জ মডেল কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৯৩ সালে কলেজটি এমপিওভূক্ত করার দায়িত্ব পালনে সফল ভূমিকা পালন করেন। এক সময়ের দেশসেরা কলেজের তাই নয়- তিনিই এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ।

১৯৮৭- ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সরকারি বেতন ছাড়াই অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজটিকে পরিচালনার দায়িত্ব নেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি অধ্যক্ষের দায়িত্বভার গ্রহণ করে পর্যায়ক্রমে জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজের স্বীকৃতি, কুমিল্লা বোর্ডের ফলাফলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে চাঁদপুর জেলায় এর সুনাম অর্জনে কৃত্বিত্বের দাবিদার করে গড়ে তোলেন।

Exif_JPE

১৯৯৪ সালের থেকেই তৎকালীন বেসরকারি শিক্ষকদের মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির অন্যতম নেতা প্রধানশিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন ও অপর শিক্ষকদের দাবি আদায়ের দিকপাল অধ্যক্ষ সাফায়াৎ আহমদ ভূঁইয়ার আহবানে চাঁদপুরের ‘শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে দাবি আদায়ের আন্দোলনের ভ্যানু ’ নামে খ্যাত ‘ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে ’এসে চাঁদপুর জেলা বাকশিসের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সে থেকেই তিনি বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি বাকশিসের সভাপতির দায়িত্বগ্রহণ করে জেলার কলেজ শিক্ষকদের এক ও অভিন্ন ধারায় আনতে সক্ষম হন। যাঁরা সংগঠনের জন্যে সময়, অর্থ, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন, উপদেশ দিয়ে এর গতি সঞ্চার করে আজ পর্যন্ত রেখেছেন তিনিও তাদের একজন।

চাঁদপুরে স্বাধীনতাত্তোর স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্তি আদায়ে যাঁদের ভূমিকায় শতভাগ বেতনভাতা, বাড়ি ভাড়া ভাতা, আংশিক হলেও উৎসব ভাতা, মেডিক্যাল ভাতা, কল্যাণ তহবিল গঠন ও অবসরসুবিধা,অষ্টম জাতীয় স্কেলভ’ক্ত হতে পেরেছে ১৯৯৪ সাল থেকে এসব আন্দোলনে তাঁর অবদান অতুলনীয়। তাঁর নেতৃত্বের প্রতি চাঁদপুর জেলার সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের অবিচল আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ ছিল।
১৯৯৪ সালের সেরা শিক্ষক আন্দোলনে নেতৃত্বে তাঁর সাথে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ ছিলেন অধ্যক্ষ সাফায়াৎ আহমেদ ভূঁইয়া, অধ্যক্ষ রুহুল আমিন, অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ,অধ্যাপক মোশারফ হোসেন, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান, অধ্যক্ষ ছালামত উল্লাহ, মরহুম অধ্যাপক সফিউল আযম শাহাজাহান, মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রধানশিক্ষক মরহুম সাফাওয়াত হোসেন, প্রধানশিক্ষক মরহুম আলী মোহাম্মদ, প্রধান শিক্ষক মরহুম নুর হোসেন, শহিদুল্লাহ প্রধান, প্রধানশিক্ষক আব্বাস উদ্দিন, প্রধানশিক্ষক সূর্যকুমার নাথ, মরহুম সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক হাসান আলী, অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, অধ্যাপক আলাউদ্দিন, অধ্যাপক খোরশেদ আলম, মো.বিলাল হোসেন, মাও. সালাউদ্দিন, কানিজ বতুল চৌধূরী প্রমুখ ।

শিক্ষকদের চাকুরি জাতীয়করণ করার সময় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকেও পর্যায়ক্রমে সরকারি করার কথা থাকলেও এর পরবর্তী সরকারগুলো নানাবিধকারণে কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হাসিলের লক্ষ্যে তারাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফলে ওই সরকারগুলোর আমলে শিক্ষকরা ধর্মঘট,হরতাল, কর্মবিরতি, সমাবেশ, মহাসমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল,মানববন্ধন কর্মসূচি স্মারকলিপি পেশ,আলোচনা,পর্যালোচনা,মিটিং,মিছিল,কালো ব্যাচ ধারণ,কালো পতাকা উড্ডয়ন,এমপি-মন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ ও ১শ’ টাকায় ঘর বানিয়ে প্রতীকী অনশন ইত্যাদি কর্মসূচিগুলো দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করতে বাকশিসসহ চাঁদপুর জেলার স্কুল,মাদ্রাসা ও কারিগরিদেরকে এক প্লাটফরম থেকে নেতৃত্ব দিতেন। ঢাকার প্রতিনিধি সভায় অত্যন্ত গঠনমূলক বক্তৃতা দিয়ে বা দিকনির্দেশনায় আন্দোলন বেগবান করেন।

তিনি মোতাওয়াল্লী সমিতি বাংলাদেশ এর মহাসচিব ও এডভোকেট ঢাকা জেলা বার, মোতাওয়াল্লী, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স, ওয়াক্ফ এস্টেট এর সদস্য জাতীয় ওয়াক্ফ কমিটির সদস্য এবং পরে সাধারণ সম্পাদক হন। সামাজিক সংগঠনের মধ্যে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি চার্টার প্রেসিডেন্ট হাজীগঞ্জ রোটারী ক্লাব, সভাপতি, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির হাজীগঞ্জ, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জামিয়া আহমাদিয়া কাওমী মাদরাসা, সহ-সভাপতি, আহমাদিয়া আলীয়া মাদরাাসা,প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জ,প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, হাজীগঞ্জ প্রেস ক্লাব ও হাজীগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির স্বপ্নদ্রষ্টা , শিক্ষা বিষয়ক একজন সফল কলাম লেখক। তাঁর প্রকাশিত একটি বই রয়েছে এরটির নাম ‘ প্রেক্ষাপটের আলোকে’ ও স্মারকগ্রন্থ হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স এর ইতিহাস ও হাজীগঞ্জ বাজাারের গোড়াপত্তন ইতিহাস সমৃদ্ধ একটি আপ-গ্রেড ভার্সনের গ্রন্থ। মোবাইল ভোর্টিং অপর একটি গ্রন্থ সম্পাদনা করেন ।

চাঁদপুরের কালজয়ী ও বর্ষীয়ান এ শিক্ষক নেতা ও শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড. মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারী ১৯৫৭ সালের ৭ জানুয়ারি হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ গ্রামে একসম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী (র.) এবং মাতার নাম হোছনে আরা বেগম। ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি একজন উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী ব্যাক্তিত্ব । ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফল মহান এ শিক্ষক অত্যন্ত সুনামের সাথে অধ্যক্ষের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর সহধর্মিণীর নাম আয়েশা সিদ্দিকা বি.এ (অনার্স), এম. এ যিনি একজন প্রভাষক। তিনি দু’পুত্র ও এক কন্যার সৌভাগ্যশীল পিতা। তারা সবাই উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী।

অধ্যক্ষ ড.মো.আলমগীর কবির পাটওয়ারী হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও এ কলেজের সকল শিক্ষকদের অভিভাবক, আধুনিক হাজীগঞ্জের রূপকার, একজন সফল শিক্ষাবিদ ও খ্যাতনামা সংগঠক,শিক্ষক নেতা ও চাঁদপুর জেলার বেসরকারি স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের পরমবন্ধু, জেলার সাংবাদিকদের সুহৃদ, কলামিস্ট ও সমাজহিতেষী আদর্শবান ব্যাক্তি। হাজীগঞ্জের উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে তিনি ‘ হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ’টিকে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে ডিগ্রি ও উচ্চতর ডিগ্রি পর্য়ন্ত এনে বেশ কটি অনার্স কোর্স চালুকরণ সহ সরকারিকরণ করেন। দেশের সেরা ১০টির মধ্যে হাজীগঞ্জ মডেল কলেজটিকে উন্নীত করেন এবং রাষ্ট্রপতি পদক অর্জনে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে আনেন।

কলেজটির উন্নয়নে তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। এ সবের ফলে হাজীগঞ্জের ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধকরণেও তাঁর ভূমিকা রয়েছে । শিক্ষামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, ইটালী, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, জার্মানী,অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুর, ভারত প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেন ।


লেখক : আবদুল গনি,
শিক্ষক, প্রাবন্ধিক ও গণমাধ্যমকর্মী,চাঁদপুর ।
২৯ জুলাই ২০২৫